ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৪৫ কিমি. যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্র ও শনিবারের টানা দুই দিনের প্রবল বর্ষণের কারণে রাস্তায় খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যান চলাচলে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। ফলে দুই ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে ৩-৪ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

রোববার সকালে যানচলাচল ধীরগতিতে চললেও বেলা ১১টার পর থেকে এই মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

গত দুই দিনের অবিরাম বর্ষণে মহাসড়কের খানাখন্দ বেড়ে গেছে। রাস্তার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া আর অবিরাম বর্ষণের ফলে রাস্তায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ছে। পুলিশ রেকার দিয়ে বিকল যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলেও রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার করুণদশার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে এ অংশে ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা সময় লাগছে।

এ ছাড়া রাবনা শহরবাইপাস, করটিয়া বাইপাস, নাটিয়াপাড়া, জামুর্কী, পাকুল্লা, আগধল্লা, কদিমধল্লা, মির্জাপুর ও ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

ঢাকাগামী এক বাসের যাত্রী বিএন কলেজের শিক্ষার্থী ওবায়দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে জানান, সকাল ৬টায় টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। বেলা ১২টা কিন্তু এখন পর্যন্ত গাজীপুরের চান্দুরা এলাকা ছাড়াতে পারিনি।

ট্রাফিক পুলিশের মির্জাপুর থানার পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম জানান, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় কোনো কোনো জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকালের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।