ঢাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কারচুপি ও নজিরবিহীন ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে (মঙ্গলবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলো।

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সবগুলো পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।

এদিন সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। পরে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বেশ কয়েকটি প্যানেল।

বিভিন্ন জায়গায় ভোট কার্যক্রমে অনিয়ম, প্রার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, প্রগতিশীল বাম মোর্চা, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং স্বতন্ত্র জোট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

বেলা ১টার পরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ সমর্থিত জিএস এ.আর.এম. আসিফুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে লিটন নন্দী, ফয়সাল সুমন, সাদিকুর রহমান এবং স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান উপস্থিত ছিলেন।

পরে আলাদাভাবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল এবং সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

ডাকসুতে প্যানেল দিয়ে নির্বাচন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাম সংগঠনগুলোর জোট, কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ-বিসিএল, ছাত্র মৈত্রী, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র মুক্তিজোট, জাতীয় ছাত্রসমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এমধ্যে কেন্দ্রীয় ডাকসুতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাম সংগঠনগুলোর জোট, কোটা আন্দোলনকারীদের বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ-বিসিএল, ছাত্র মৈত্রী, ইশা ছাত্র আন্দোলন, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও ছাত্র সমাজ।