ঢাবিতে আন্দোলন করতে পারবে না অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষার্থীরা

‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অভ্যন্তরে অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষার্থীরা কোনোপ্রকার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ।

অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকালে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে এলে বাধার মুখে পড়েন। চতুর্থ বর্ষের সমাপনী ফল প্রকাশের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করতে আসে শিক্ষার্থীরা।

সরকারি কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ছাত্র মো. শাহ্ পরান রিপন বলেন, ‘৯ মাস পার হলেও ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ হয়নি, দ্রুত ফল প্রকাশের দাবিতে আমরা সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে দেয়নি। তাই আমরা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলন করি।’

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন। প্রশাসন জানায়, ‘শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন নয়, তারা চাইলে শহীদ মিনারে আন্দোলন করতে পারবে। এ জন্য আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।’

প্রক্টর আমজাদ জানিয়েছেন, অধিভুক্ত কলেজের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক শুধুমাত্র একাডেমিক। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, হল, পরিবহন সংক্রান্ত কোনো সুবিধা পাবে না। অধিভুক্ত শিক্ষার্থীদের যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে সমাধানের জন্য তারা কাজ করবে। এরপর কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাবে। বিষয়টা পদ্ধতি মেনেই হতে হবে।

ঢাবি প্রক্টর আরো জানান, সাত কলেজ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো ১০৪টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে। তারা কখনো মধুর ক্যান্টিনে আন্দোলন করতে আসেনি। তারা আন্দোলন করেছে নিজেদের ক্যাম্পাসে।

তিনি বলেন, এ রকম যদি একবার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে অধিভুক্ত কলেজের ২ লাখ শিক্ষার্থীর সমাগম ঘটলে ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য অনুযায়ী এর আগে দলবদ্ধভাবে কেউ এরকম আন্দোলন করতে মধুর ক্যান্টিনে আসেনি।

প্রক্টর আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষার কোনো ধরনের ব্যাঘাত হয়, এমন কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না।

ওই কলেজের সমস্যা সমাধানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আশা করছি দ্রুতই সকল সমস্যার সমাধান হবে।