ঢাবিতে কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত ছাত্রলীগ সভাপতি

সভাপতি হওয়ার এক মাস হতে না হতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ সংগঠনের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে ফেরার পথে হাতাহাতিতে জড়ানোর এক পর্যায়ে তার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে কিছু কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারীদের মধ্যকার এই হাতাহাতি প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী হয়। তবে এতে কেউ আহত হননি।

এদিকে হাতাহাতির এই ঘটনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। বলেছেন, ‘টিএসসিতে এমন কিছু হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কারণ আমি কিছু দেখিনি।’

তার মানে টিএসসিতে কিছুই হয়নি- এ প্রতিবেদকের প্রশ্নে সাদ্দাম বলেন, ‘জুনিয়ররা হাতাহাতি করতে পারে, তবে মনে হয় সেটা আমরা চলে আসার পরে হয়েছে।’

কিন্তু মারামারির ভিডিওতে তাকে (সাদ্দাম) দেখা গেছে জানালে তিনি বলেন, ‘জুনিয়ররা মারামারি করলে আমরা থামাব না?’

এই বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডজন খানেক হল পর্যায়ের নেতাকর্মীর সাথে কথা হয়। তারা জানান, মঙ্গলবার সকালে শোক দিবস উপলক্ষে টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানককে সালাম দেওয়ার সময় টিএসসির মূল গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের এক ছাত্রের সাথে ধাক্কা লাগে ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের।

ধাক্কা লাগার কিছুক্ষণ পর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভনের এক অনুসারি সনজিতকে প্রশ্ন করেন আপনি কে? এই নিয়ে শুরু হয় দুই গ্রুপের হাতাহাতি ও কিল-ঘুষি।

হাতাহাতির এক পর্যায়ে থামাতে এগিয়ে আসেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি বারবার নেতাকর্মীদের মারামারি থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার কথায় না থেমে তাকেই লাঞ্ছিত করেন তারা।

এই বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।