ঢাবিতে দুই শিক্ষার্থীকে ফের পেটাল ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে ফের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শুক্রবার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেলের কক্ষে তাদের মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদ রকি ও একই বর্ষের উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল উদ্দিন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- শামছের তাব্রীজ প্রান্ত (পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক), মাজহারুল ইসলাম তামীম (দফতর সম্পাদক), আরিফুল ইসলাম (সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক), শেখ আরিফিন ইমরোজ (গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক)। এরা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদের অনুসারী বলে জানা গেছে।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ফকির রাসেল আহমেদ বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। এটাকে ফকির রাসেলের অনুসারী কয়েকজন আঞ্চলিক কোরাম করছে বলে অভিযোগ করে। পরে তাদের হল সভাপতি ফকির আহমেদ রাসেলের রুমে নিয়ে স্ট্যাম্প ও রড দিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা।

জানতে চাইলে রকি বলেন, আমাকে হল শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছের তাব্রীজ প্রান্ত ফোন দিয়ে রাসেল (হল সভাপতি) ভাইয়ের রুমে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বন্ধু ফয়সাল উদ্দিনকে মারধর করছে তারা। আমি রুমে ঢুকলে আমাকে বসতে বলে। আমি বসলে আমার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে ঘড়িটাতো দামি, খোল এটা। প্রথমে প্রান্ত এসে আমাকে কিল-ঘুষি ও স্ট্যাম্প দিয়ে আমাকে পেটায়। পরে দফতর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তামীম, শামছের তাব্রীজ প্রান্ত, মাজহারুল ইসলাম তামীম, আরিফুল ইসলাম ও শেখ আরিফিন ইমরোজ মারধর করতে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। ঘটনা জেনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

তবে এ ব্যাপারে হল প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনা এটাই নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার অভিযোগ আছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এমনকি ফকির রাসেল ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে হল থেকে বের করে দেয়া এসব শিক্ষার্থীর মোবাইল, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে দেয়ারও অভিযোগ আছে।