ঢাবি ও ঢামেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং ঢাকা মেডিকেল এর ফজলে রাব্বি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বকশিবাজার পেনাং রেস্টুরেন্টে ঢাকা মেডিকেলের দুই শিক্ষার্থী খাওয়া শেষ করে টেবিলে ফোন রেখে হাত ধুতে যান। চেয়ার ফাঁকা পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের দুই ছাত্র সেখানে বসেন। পরে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা চেয়ারে বসার কারণ জিজ্ঞেস করলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ডা. ফজলে রাব্বী হলে ফোন দিয়ে শিক্ষার্থীদের জড়ো করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এতে এস এম হলের রিয়াজ নামে এক ছাত্র মারাত্মক আহত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে মেডিকেলের কয়েকজনকে মারধর করেন। এতে ফজলে রাব্বি হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন আহত হন। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও কিছুক্ষণ পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা জড়ো হয়ে বকশিবাজার এলাকায় যান। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন আব্দুল লতিফকে বেদম মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এসময় তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। ক্যামেরাটি এখনো পাওয়া যায়নি।

ফজলে রাব্বি হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আল আমিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের হলের কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করে। এর মধ্যে সাতজন আহত হয়েছে। আমাকেও তারা মারধর করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস বলেন, ঢাকা মেডিকেলের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার হলের কয়েকজন ছোট ভাইকে মারধর করে। বিষয়টা জানাজানি হলে তাদের বন্ধুরা সেখানে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।