ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর করে ডাস্টবিনে ফেললেন ছাত্রলীগ নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ডাস্টবিনে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। পরে আহত শিক্ষার্থীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তার সহপাঠীরা।

হামলার শিকার ওই ছাত্রের নাম আবুল কাসেম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হলের বাসিন্দা। পড়েন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে, তৃতীয় বর্ষে। জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হাসান তার ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল ছাত্রলীগ নেতা ইমাম ও কাসেমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমাম কাসেমকে মারধর শুরু করেন। এ সময় কাসেমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আরও তিনজনকে মারধর করা হয়।

আবুল কাসেমের সহপাঠী ও বন্ধুদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জসীমউদদীন হলে হামলার এ ঘটনা ঘটে। কাসেমকে মারধর করা হচ্ছিল দেখে তারা সেখানে যান। গিয়ে দেখেন তাকে জখম করে হলের পাশে ময়লার স্তূপে ফেলে রেখে গেছে হামলাকারীরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধু ও সহপাঠীরা।

আহত কাসেমের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি অসুস্থ বলে জানান তার বন্ধুরা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইমামকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা অন্যায়-অপরাধ করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা এ ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।