তারকাদের জীবনসঙ্গীরা কে কি করেন?

ভক্তদের মধ্যে তারকাদের নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। তারকা কি করেন, কিভাবে থাকেন এরকম ছোট-খাট অনেক কিছু নিয়েই আগ্রহ থাকে। এক কথা বলতে গেলে তারকাদের সব বিষয়েই ভক্তদের আগ্রহ।

সেক্ষেত্রে তারকাদের সঙ্গীরা কি করেন, সেটাও হয়তো আমাদের জানার ইচ্ছা থাকে। আসুন জেনে নেই কি করছেন তারকাদের সঙ্গীরা।

মামনুন ইমন : ২০০৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইমন বিয়ে করেন আয়শা ইসলামকে। প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পারিবারিকভাবেই সেদিন দুজনের বিয়ে হয়। সাত বছর পর সে বিয়ের পর জানান ইমন। ক্যারিয়ারের ভয়েই নাকি বিয়ের খবর জানাতে পারেননি।

তার রয়েছে দুই ছেলে সামিন ও শায়ান। ইমন নাটক- সিনেমায় অভিনয় করলেও স্ত্রী আয়শা শোবিজের বাইরের মানুষ। তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। সন্তানদের দেখাশুনার পাশাপাশি নিজের পেশায় ব্যস্ত থাকেন তিনি।

ইরফান সাজ্জাদ : দুই বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন। বিয়েটা হয়েছিল ইরফানের বয়স যখন মাত্র ২০ বছর। তাঁর সহধর্মিনী চ্যানেল আই সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে আছেন (শারমিন সাজ্জাদ)। দুজনেরই বাড়ি চট্টগ্রামে।

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর : বিয়ে করেন ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল। তাঁর বর জয়দ্বীপ সিনহা রায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তবে তিনি বাংলাদেশি নন। তিনি কলকাতার ছেলে।

বন্যা মির্জা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভগের সহযোগী অধ্যাপক মানস চৌধুরীর সঙ্গে ২০১০ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন বন্যা মির্জা।

আরেফিন শুভ : আরেফিন শুভর স্ত্রী অর্পিতা সমাদ্দার পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। কলকাতার মেয়ে হলেও বিয়ের আগ থেকেই তিনি ঢাকায় স্থায়ী। পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। বর্তমানে তিনি একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব : অপূর্ব ২০১১ সালে বিয়ে করেন নাজিয়া হাসান অদিতিকে। সেই থেকে তাদের সংসার শুরু। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ জুন অপূর্বের জন্মদিনেই তার স্ত্রী নাজিয়া এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় আয়াশ। পুত্র আয়াশ পৃথিবীতে আসার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে তাদের সংসার। মানে সুখে পরিণত হয় এই দম্পতি। বর্তমানে সেই সন্তানের বয়স এখন চার বছরে পা রেখেছে। হয়েছে স্কুলেও ভর্তি।

অদিতির রয়েছে বুটিক হাউজ ‘অদ্রিয়ানা’। নিজেরই আবাসস্থলের ছাদে স্টুডিও বুটিক ‘অদ্রিয়ানা’ র যাত্রা শুরু করেন এই ফ্যাশন ডিজাইনার। রাজধানীর উত্তরার চার নম্বর সেক্টরে অপূর্ব ও অদিতির এই স্টুডিওটি অবস্থিত।

বালামের স্ত্রী সাগুফতা : অনেকটা চাপা স্বভাবের মেয়ে ছিলেন সাগুফতা ফারুক সাদিয়া। কিন্তু বালামের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা তাকে অনেকটা পাল্টে দিয়েছে। তিন-চার বছর আগে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত অসুখে ভুগে তার শরীরের একপাশ অকেজো হয়ে পড়েছিলো। তবে বালামের যত্ন, সেবা আর উৎসাহ তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। তিনি এখন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। ফাবিয়ান জাহাঙ্গীর নামে তাঁদের একটি তাদের পুত্রসন্তানও রয়েছে।

তপুর স্ত্রী নাজিবা সেলিম : বিয়ের সময় তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনালে পড়াশুনা করতেন। বর্তমানে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।

নিরবের স্ত্রী ঋদ্ধি : ‘নিরব আদর্শ স্বামীর মতোই আমার সব কথা শোনে। ও মানুষ হিসেবে খুব ভালো, অন্যের প্রতি যত্নশীল। ওকে পেয়ে আমি ভাগ্যবতী’ – বলছিলেন তাসফিয়া তাহের ঋদ্ধি। আর তাইতো তিনি আদর্শ গৃহিনী হিসেবেই সময় কাটান।

সুমাইয়া শিমুর স্বামী নজরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।