তিনবারের চেষ্টায় গেইলকে ‘আউট করলেন’ আম্পায়ার!

ফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গাফানির সঙ্গে ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলের কোনো শত্রুতা আছে কিনা জানা যায়নি। মিচেল স্টার্কের একই ওভারে দুই বার গেইলকে আউট ঘোষণা করেন নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার গাফানি। দুইবারই এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ চান গেইল। দুই বারই দেখা যায় তিনি এলবিডাব্লিউ হননি! শেষ পর্যন্ত মিচেল স্টার্কের ফিরতি ওভারেই ১৭ বলে ২১ রান করে ফিরেন তিনি। আবারও রিভিউ নিয়েছিলেন; কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পে আঘাত করত।

কিন্তু সমস্যা হলো, আগের বলটা যে নো বল ছিল; যা আম্পায়ারের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে! এত বড় নো বল কীভাবে আম্পায়ারের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় তা অবশ্যই আলোচনার বিষয়! আম্পায়ার ক্রিস গাফানির এমন কাণ্ড দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাদের মতে, এটা অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আইসিসির পক্ষপাতিত্ব।

এর আগে ট্রেন্ট ব্রিজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে অজিরা ২৮৮ রান তুলে অল-আউট হয় অজিরা। দলীয় ১৫ রান থেকে পতনের শুরু। ওশান থমাসের বলে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৬) ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে। ১১ রানের ব্যবধানে ফিরে যান ভয়ংকর ডেভিড ওয়ার্নার (৩)। শেলডন কটরেলের বলে ধরা পড়েন শেমরন হেটমায়ারের হাতে। তিনে নামা উসমান খাজাকে (১৩) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন অল-রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০) কটরেলের দ্বিতীয় শিকার হলে বিপদে পড়ে যায় অজিরা। স্টইনিসকে (১৯) তুলে নেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের এই মহাবিপদের সময় হাল ধরেন অ্যালেক্স কোরি এবং স্টিভেন স্মিথ। ৫৫ বলে ৪৫ করা কোরিকে আন্দ্রে রাসেল নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করলে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি। ৭ম উইকেটে কুল্টার নাইলকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন স্টিভেন স্মিথ। দুজনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

স্মিথ ৭৭ বলে এবং কুল্টার নাইল ৪১ বলে। ১০৩ বলে ৭ চারে ৭৩ রান করা স্টিভেন স্মিথকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে ১০২ রানের জুটি ভাঙেন ওশান থমাস। ব্র্যাথওয়েটের শিকার হন কামিন্স (২)। এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন ৭৯ বলে ৯২ করা কুল্টার নাইল। ৪৯ ওভারে ২৮৮ রানে অল-আউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ব্র্যাথওয়েট নিয়েছেন ৩ উইকেট।