তিনি দু’জন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী!

রহস্যময়ী এক নারী। পর্দার আড়ালে তার অনেক ক্ষমতা। তিনি নাকি দুটি দেশের দুই প্রেসিডেন্টের স্ত্রী! অর্থকড়ির অভাব নেই। বিলাসী জীবনযাপন করেন। আরও কত কী!

সম্প্রতি রহস্যময়ী এ নারীর মুখোমুখি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। মঙ্গলবার তার এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে পত্রিকাটিতে।

তিনি ‘ম্যাডাম জিসেলি’ নামে পরিচিত। আরও অনেক নাম রয়েছে তার, যেগুলো তিনি বিভিন্ন সময় ব্যবহার করেছেন। বয়স ৫০-এর কোঠায়। বহু দেশে তার বাড়ি ও সম্পত্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও মেরিল্যান্ডেও তার আলিশান বাড়ি আছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, জিসেলি দাবি করেন, তিনি দু’জন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। কিন্তু তাদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে গোপনে। হাই-প্রোফাইল হওয়ায় প্রেসিডেন্ট স্বামীদের ইচ্ছায় তিনি বিয়ের তথ্য চাপা রেখেছেন।

জিসেলি দাবি করেন, মিসরের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তার স্বামী! তবে এ খবর কেউ জানেন না। সিসির কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও নাকি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফলে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়!

জিসেলির দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির ফোনালাপ করিয়ে দিয়েছেন তিনিই। ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির সুসম্পর্কের কারণও নাকি তিনি!

ম্যাডাম জিসেলি দৃঢ় গলায় দাবি করেন, ভেনিজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ তার স্বামী ছিলেন! কিন্তু এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নাকি তার হাত রয়েছে। ঘানার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন কুফুয়োরের সঙ্গে তার নাকি ঘনিষ্ঠতা ছিল। এ নিয়ে ঘানার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্লগে লেখালেখি হয়েছিল।

জিসেলি দাবি করেন, তার জন্ম লেবাননে কিন্তু বেড়ে উঠেছেন বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, কলোম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, কিউবায় তার অবাধ চলাচল। কলোম্বিয়ার সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিল হয়।

আরও চড়কদার বিষয় হল, তার বিভিন্ন দাবি নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে কিছু সত্যতার আভা দেখা গেলেও এমন এক দাবি তিনি করেছেন, যা আকাশ থেকে পড়ার মতো। তার দাবি, ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে! শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউসে তার বসারও ব্যবস্থা আছে!

কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ম্যাডাম জিসেলি নামে হোয়াইট হাউসে কেউ কাজ করেন না। জিসেলির অর্থ-সম্পদ নিয়ে তার প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে। ব্যক্তিগত জেট বিমানে চলাচল করেন তিনি।

জিসেলির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে মেরিল্যান্ড অ্যাটর্নির কার্যালয়। উঠে আসছে অনেক তথ্য। কতটা সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে- তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।