তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে শ্বাসকষ্টের রোগী

ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগতপ্রাণকড়া রোদ। আর তীব্র গরমে বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট রোগীরা সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে যেমন শ্বাসকষ্ট হয়,তীব্র গরমেও এ সমস্যা হতে পারে। এ কারণে রোগীদের গরম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান,তাদের কাছে গড়ে প্রতিদিন ১৫০-২০০ শ্বাসকষ্টের রোগী আসছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরেও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা অসংখ্য। তবে,স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন,

‘নভেম্বর থেকে জানুয়ারিতে সাধারণতে রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। তখন আমরা ডাটা সংগ্রহ করি। কিন্তু গরমকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় এবং কত রোগী এর কারণে চিকিৎসা নিচ্ছে এমন কোনও ডাটা আমাদের কাছে নেই।’

টানা দাবদাহে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। গরমের কারণে সবচেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্করা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রবিবার রাতে অথবা সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। তবে এই বৃষ্টিপাত শেষ হলেই আবার চড়তে থাকবে তাপমাত্রার পারদ।

দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,এ মাসে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপ্রাবাহ অর্থাৎ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে।