তুরস্কের সংকটে পাশে দাঁড়াল কাতার

আমেরিকার এক যাজককে গ্রেফতার ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যখন আঙ্কারার টানাপোড়েন চলছে তখন তুরস্কের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতার। দেশটিতে সরাসরি দেড় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি।

২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে মার্কিন ওই ধর্ম যাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে অভিযোগ এনেছে তুরস্ক। ওই অভিযোগে তাকে দুই বছর ধরে বন্দি রাখা হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাকে ছেড়ে দিতে চাপ দিলেও, আইন সবার জন্য সমান উল্লেখ করে, তাকে না ছাড়ার কথা জানিয়েছে আঙ্কারা।

তিন দিনের আঙ্কারা সফরে এসে বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে আল-থানি ওই বিনিয়োগের ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম আনাদলু।

খবরে বলা হয়েছে, তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন দুই নেতার বৈঠকের পর টুইটারে বলেছেন, ‘তুরস্কে সরাসরি দেড় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার।’

তিনি বলেন, ‘তুর্কি-কাতারি সম্পর্ক সত্যিকারের বন্ধুত্ব এবং সংহতির দৃঢ় ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।’

প্রসঙ্গত, যাজক ইস্যুতে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেন। এতে ডলারের তুলনায় তুর্কি মুদ্রা লিরার মান পড়ে গেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীবাহী বিমান, অ্যালকোহল ও তামাকজাতীয় পণ্য আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে তুরস্ক।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের প্রেস অফিস বলেছে, তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে এরদোয়ান ও আল-থানি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করেছেন।

এদিকে, বুধবার আনাদলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুরস্কে অবস্থিত কাতারি দূতাবাসের কর্মকর্তা সালেম বিন মুবারক আল-শাফি বলেছেন, ‘কাতার সব সময় তার তুর্কি ভাইদের সমর্থনে সক্রিয়।’

তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার আল-থানি টুইটারে বলেছেন, ‘আমরা তুরস্ক ও আমাদের তুর্কি ভাইদের পাশে আছি, যারা কাতার ও উম্মার সমস্যায় পাশে আছে।’

অন্যদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান টুইটারে বলেছেন, আল-থানির সঙ্গে তার বৈঠক ছিল অত্যন্ত ‘কার্যকর ও ইতিবাচক’। তুরস্কের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাতারি আমির ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদও জানান।