তৃণমূলের টানে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান বিদিশা

জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন বিদিশা। দলের তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা চাইলে তাদের আকাঙ্খার প্রতি সম্মান জানাবেন তিনি। তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করতে ফের সংগঠনিক তৎপরতা শুরু করবেন।

একান্ত আলাপচারিতায় বিদিশা তার এ মনোভাবের কথা জানান।

বিদিশা এক সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য ছিলেন তিনি। তবে এ পদটি তখন তিনি পেয়েছিলেন বৈবাহিক সূত্রে। আবার হারিয়েও ফেলেন পারিবারিক কলহ এবং রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে।

সময়ের প্রয়োজনে দূর অতীতের এ সব অপ্রিয় ঘটনা ও দুর্ঘটনা নিয়ে এখন খুব একটা ভাবছেন না বিদিশা। কেননা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন জীবন সায়াহ্নে। এরশাদের এমন অবস্থার কারণে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এখন নানাভাবে আন্দোলিত হচ্ছে। তবে একাধিক প্রহসন নাটকের যবনিকা শেষে এইচএম এরশাদ দলের ভবিষৎ কাণ্ডারি নির্বাচিত করেছেন।

এরশাদের অবর্তমানে ছোটভাই জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে জিএম কাদের নতুন উদ্যোমে সংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছেন। অন্যদিকে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরদের একাংশ চাইছেন ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হোন বিদিশা।

এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে বিদিশা বলেন, আমি আগেও রাজনীতি করেছি, জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ফলে জাতীয় পার্টির প্রতি একটা টান আমার যেমন অতীতে ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষতেও থাকবে। আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও এটা থাকবে আবার যুক্ত না থাকলেও এটা থাকবে। এখন জাতীয় পার্টি ইয়াং জেনারেশনের। সবাই এরিকের মতো, আমার সন্তানের মতো। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এতোদিন সবাইকে আগলে রেখেছেন, এখন আমাদের উচিত তাদের আগলে রাখা।

তিনি বলেন, আগে আমি রাজনীতিতে ছিলাম। ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে টিকতে পারি নি। তৃণমূল থেকে যদি আমাকে চায় তাহলে আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চিন্তা করবো। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রতি সম্মান জানাবো, তাদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করবো। দলের নীতি-নির্ধারণী দু’একজনের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমি রাজনীতিকে সক্রিয় হবো না।