তৃপ্তিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আফতাব আহমেদ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি বিএনপির সাবেক এমপি মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরীর আদালতে তোলা হলে আদালত রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৩ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে তৃপ্তিকে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সুব্রত কুমার সাহা। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি সানজিদুল হাসান ইমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তৃপ্তির কথা বলেছেন। ইমন ২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল এই জবানবন্দি দেন। তাই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তৃপ্তির ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।

অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মদ তালুকতার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, হাইকোর্টে কোনো মামলায় তৃপ্তিকে হয়রানি না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলায় তাকে রিমান্ড দিলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করা হবে।

বিচারক এ বিষয়ে কাগজ আছে কি-না জানতে চাইলে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, আমাদের কাছে কাগজ আছে। সময় পেলে আমরা তা দেখাতে পারবো।

এসময় আদালত রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে শুনানির জন্য আগামী ১৩ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন।

সাবেক এমপি তৃপ্তিকে বুধবার রাজধানীর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগের কোতয়ালী ইউনিট।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ফুলার রোডে বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারের নিজ বাসায় অধ্যাপক আফতাবকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এর তিন দিন পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১২ বছর পর ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বিএনপির এক সময়ের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক তৃপ্তি যশোরের শার্শা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জরুরি অবস্থার পর ২০০৮ সালে ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।