ত্রিশ বছরের রেকর্ড ভাঙা বন্যায় দিশেহারা বানভাসিরা

ত্রিশ বছরের রেকর্ড ভাঙা বন্যায় দিশেহারা বানভাসিরা। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কচুরিপানার মতো ভাসমান মানুষগুলো নদীর একুল থেকে ওকুল হাতড়ে ফিরছে একটু কিনারার আশায়। ত্রাণ বলতে চাল, চিড়া আর গুড়। তাও আবার সবার ভাগ্যে জোটেনি। নদনদী বেষ্টিত উত্তরে বন্যা স্বাভাবিক দুর্যোগ হলেও কর্তৃপক্ষের আগাম প্রস্তুতি না থাকায় এমন পরিস্থিতি বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

বন্যা কবলিত গাইবান্ধার বানভাসিদের অভিযোগ সবখানেই। সচেতন মহল বলছে, বন্যা এ অঞ্চলের স্বাভাবিক দুর্যোগ হলেও কর্তৃপক্ষের আগাম প্রস্তুতি থাকেনা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি অকার্যকর হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।

সেই সাথে বানভাসিদের প্রয়োজন বিবেচনায় এনে ত্রাণ সূচি প্রণয়নের বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত বলে অভিযোগ করেন গাইবান্ধা সিপিবি’র সাবেক সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল এবং সমাজতান্ত্রিক কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজুর আলম মিঠু।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর মধ্যে অসম ত্রাণ বণ্টনের প্রশ্নে জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বললেন, ত্রাণ বিতরণে নির্দিষ্ট কোনো পরিমাপ নেই।

উজানের ঢলে চরদ্বীপচরসহ ঘাঘট ব্রহ্মপুত্রের বাঁধের আঠারোটি পয়েন্ট ধসে গাইবান্ধার ৭ উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক হাজার মেট্রিক টন চাল, সাড়ে চৌদ্দ লাখ টাকা আর পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার।