দানবাক্সে সোয়া কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার পালা।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ, সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. আসাদউল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনার কাজ তদারক করেন।

জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এই মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে মসজিদ ও এতিমখানা ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ এবং সেবামূলক খাতে সাহায্য করা হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেলা শহরের গাইটাল এলাকার নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদের দানবাক্স খুলে প্রতিবারই কোটি টাকার ওপরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন জেলার বাসিন্দারা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ মসজিদের দানবাক্সগুলোয় অর্থ ছাড়াও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। গত বছরের ২৬ আগস্ট এই মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই অঙ্কও ছাড়িয়ে গেছে। চার মাস পরপর দান বাক্স খোলা হয়ে থাকে।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ এবার দানবাক্স খুলে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে, তা আগের স্বর্ণালংকারের সঙ্গে যোগ করে একটি সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে।