দীর্ঘ ১১ বছর পর ফের বিশ্বকাপের সেমিতে মুখোমুখি দুই অধিনায়ক

সাতবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠেও একবারও বিশ্বসেরার খেতাব জিততে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। এবার ফের সুযোগ এসেছে। তবে মঙ্গলবার সেমিফাইনালে তাদের সামনে বিরাট কোহলির ভারত। কোহলিদের হারিয়ে ফাইনালে উঠতে মরিয়া কেন উইলিয়ামসনের ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’। অন্যদিকে, দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে কার্যত অপরাজেয় দেখাচ্ছে ‘মেন ইন ব্লু’কে।

তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোহলি বনাম উইলিয়ামসন এই প্রথম নয়। ১১ বছর আগেও অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও কেন উইলিয়ামসন। এবার ফের একবার একই পরিস্থিতিতে মুখোমুখি দুই অধিনায়ক।

১১ বছর আগে আইসিসির ইভেন্ট বিশ্বকাপে নিজ নিজ দেশকেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোহলি-উইলিয়ামসন। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে নিজ নিজ দলের অধিনায়ক ছিলেন তারা। ২০০৮ সালের সেই ম্যাচটিও ছিল সেমি ফাইনালের ম্যাচ। যেখানে কিউইদের ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেই আসরে কোহলির দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরে।

কুয়ালালামপুরের সেমি ফাইনালে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারায় ভারত। ম্যাচ সেরা হন কোহলি। ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইরা তোলে ২০৫ রান। বৃষ্টির কারণে ভারতের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ১৯১। ৪১.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত জয়ের বন্দরে পৌঁছে।

সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে কোরি আন্ডারসন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন। দ্বাদশ বিশ্বকাপে কিউই দলে থাকা অধিনায়ক উইলিয়ামসন করেছিলেন ৩৭ রান, টিম সাউদি করেন ১১ রান। ভারতের বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক কোহলি সেই ম্যাচে ৭ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। তার মধ্যে উইলিয়ামসনের উইকেটটিও নিয়েছিলেন কোহলি। এই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা রবীন্দ্র জাদেজা সেই ম্যাচে ৬ ওভারে ২১ রান দিয়ে পেয়েছিলেন একটি উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় দলপতি কোহলি ৫৩ বলে পাঁচটি বাউন্ডারিতে করেন ৪৩ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৯ ওভারে ২৯ রান খরচায় তুলে নেন চারটি উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট ৮ ওভারে ২৬ রান খরচায় পান একটি উইকেট। কোরি আন্ডারসন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। উইলিয়ামসন ১ ওভারে ৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।