দীর্ঘ ১৮ বছরেও শেষ হয়নি কারাগারের নির্মাণ কাজ

দীর্ঘ ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কিশোরগঞ্জ নতুন কারাগারের নির্মাণ কাজ। ৩০ শতাংশ কাজ বাকি রেখে এরইমধ্যে এ প্রকল্পের পাওনা টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তদন্ত করে নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।

কারাবন্দীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ সদরের বিন্নগাও মোড় এলাকায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক কারাগার নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু ১৮ বছর পরও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি কারাগারটির। সর্বশেষ গত জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকায় কারা কর্তৃপক্ষকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল গণপূর্ত বিভাগ। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও তুলে নেয় পাওনা টাকা। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ৩০ শতাংশ কাজ অসমাপ্ত পায়। নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, কী কী কাজ বাকি আছে তার বিস্তারিত প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সেবা সুরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি করেছি।

ঠিকাদার মো. খালেদ শামস তুষার বলেন, অভিযোগ পুরো অসত্য। ৩০ শতাংশ কাজ কখনো বাকি ছিল না। জুন মাসে টাকা দেয়া হয়েছিল। কোনো কোনো ঠিকাদারের ১০ শতাংশ কাজ বাকি ছিল।

অভিযোগ পেয়ে গত ২১ অক্টোবর কারাগারটির নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে মাটি ভরাটসহ বেশকিছু কাজে অসঙ্গতি পান ঢাকা বিভাগের উপ কারা মহাপরিদর্শক। তবে কিছু কাজ বাকি থাকলেও নিয়ম মেনেই কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের।

ডিআইজি মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভেতরে কিছু ত্রুটি দেখা গেছে। তবে তা উদ্বোধনের আগে ঠিক হবে বলে জানিয়েছে পিডাব্লিউডি।

নির্বাহী প্রকৌশলী আজমল হক বলেন, কাজ পুরো শেষ হয়েছে। তবে মাটিতে আর্দ্রতা আছে। এটা বৃষ্টির কারণে হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, নির্মাণাধীন কারাগারটির এখনো ৩২টি কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।