দুই জোটকে ৫৫ আসন দিয়েছে বিএনপি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২৩ দলীয় জোটকে এ পর্যন্ত ৫৫টি আসনে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১৯ ও জামায়াত ২৪টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বাকি শরিকদের দেয়া হয়েছে ১২টি আসন।

অবশ্য ঘোষিত আসনেও বিএনপি পরিবর্তন এনেছে। এ ছাড়া দুই জোটের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এখন পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডিকে পাঁচটি, গণফোরামকে ছয়টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে তিনটি, নাগরিক ঐক্যকে পাঁচটি এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে একটি আসন দিয়েছে।

জেএসডি : আসম আবদুর রব (লক্ষ্মীপুর-৪), আবদুল মালেক রতন (কুমিল্লা-৪), শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন (ঢাকা-১৮), সাইফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-৩), নুরুল ইসলাম (শরীতয়পুর-১)।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৮), টাঙ্গাইল-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম ও গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল সিদ্দিকী।

গণফোরাম : সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), মোস্তফা মহসিন মন্টু (ঢাকা-৭), এএইচএম খালেকুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৮), রেজা কিবরিয়া (হবিগঞ্জ-১), অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ (পাবনা-১), আসমা আমিন (কুড়িগ্রাম-২)

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া : সুলতান মো. মনুসর আহমেদ (মৌলভীবাজার-২)

নাগরিক ঐক্য : মাহমুদুর রহমান মান্না ( বগুড়া-২), এসএম আকবর (নারায়ণগঞ্জ-৫), শাহ রহমত উল্লাহ (রংপুর-১) মোফাখারুল ইসলাম (রংপুর-৫), নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর (বরিশাল-৪)।

এ ছাড়া ২৩ দলীয় জোটের মধ্যে বিজেপি একটি, খেলাফত মজলিশ দুইটি, এলডিপি পাঁচটি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দুইটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম তিনটি, এনপিপি একটি ও পিপিবিকে একটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।

বিজেপি : ঢাকা-১৭ আসনে আন্দালিব রহমান পার্থ।

এনপিপি : নড়াইল-২ আসনে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

পিপিবি : রংপুর-৩ আসনে রিটা রহমান।

কল্যাণ পার্টি : চট্টগ্রাম- ৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

এলডিপি : চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমেদ, চট্টগ্রাম–৭ আসনে মো. নুরুল আলম, কুমিল্লা-৭ আসনে রেদোয়ান আহমেদ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে সাহাদাত হোসেন সেলিম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।

খেলাফত মজলিশ : হবিগঞ্জ-৪ আসনে আহমেদ আবদুল কাদের ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মুনির হোসেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহিনুর পাশা, হবিগঞ্জ-২ আসনে আবদুল বাসিদ আজাদ, যশোর-৫ আসনে মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।

জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) : গাইবান্ধা-৩ আসনে টিআই ফজলে রাব্বী, কুষ্টিয়া-২ আসনে আহসান হাবিব লিংকন।

বাংলাদেশ লেবার পার্টি : পিরোজপুর-২ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

জামায়াত : ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পারোয়ার, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম, কক্সাবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ, সিলেট-৫ আসনে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে হাবিবুর রহমান, ঠাকুরগাঁও -২ আসনে আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আসনে আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা- ১ আসনে মাজেদুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী। এ ছাড়া বাগেরহাট, পাবনা ও যশোরের আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে দলটি।

২৩ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান জোটের আসন বণ্টন সম্পর্কে বলেন, ‘আসন ভাগাভাগির আলোচনা চললেও শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলাটা ঠিক হবে না।’

এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, দুই জোটকে তারা ষাটের বেশি আসন ছাড় দেবেন না।

এদিকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জোটের অধিকাংশ শরিক দলগুলো ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। শুধুমাত্র এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমেদ তাদের নিজস্ব ‘ছাতা’ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

রোববারের মধ্যেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।