দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেল বেরোবির তিন কর্মকর্তা

বেরোবি প্রতিনিধি : দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্রভুক্ত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) তিন কর্মকর্তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়া ও সেই সময়ের রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মন্ডলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে আসামীত্রয় অব্যাহতির আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে অপর দুইজনকে অভিযুক্ত করেন।

অব্যাহতি প্রাপ্ত তিন কর্মকর্তা হলেন, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ টি জি এম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম।

বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল করিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে একটি মামলা করেন। অব্যাহতি প্রাপ্ত তিন কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলির মিয়াকে সেখানে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ মার্চ সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়াসহ ওই চার কর্মকর্তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র পাঠায় দুদক। পরে গত ২০ জুলাই মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালত সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়া ও শাহজাহান মন্ডলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ২০ আগস্ট তারা জামিনে মুক্তি পান। এদিকে ১৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানীর দিন ধার্য ছিল। সেইদিন ঐ তিন কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারায় অব্যাহতি প্রার্থনা করলে মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন এবং অভিযোগপত্রভুক্ত আসামীত্রয়কে অত্র মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং এজাহার নামীয় তৎকালীন উপাচার্য ড.আব্দুল জলিল মিয়া ও অতিরিক্ত রেজিস্টার শাহজাহান আলী মন্ডলকে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত করেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার।

আদালতের রায়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এটি জি এম গোলাম ফিরোজ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো।আদালত আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ না পেয়ে আজ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।তিনি বলেন, আমরা(তিনজন) ন্যায় বিচার পেয়েছি।’