দুপুরে তুলে নেয়ার পর রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি জিয়াউল বশির শাহীন ওরফে শহীদ (৩২) নিহত হয়েছেন। মরদেহের পাশ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে হ্নীলার দরগাহ গেট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

তবে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দেরর দাবি, তাকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর এলাকা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন।

নিহত শহীদ টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছৈয়দ আহমদ ছৈয়দুর ছেলে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার হ্নীলা দরগাপাড়া সংলগ্ন আশ্রয় কেন্দ্র এলাকায় ইয়াবা কারবারি দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল আজিজ (২৩), মেহেদী হাসান (২১) ও হেলাল (২২) আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে ইয়াবা কারবারিরা পিছু হঠে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি মরদেহ, ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ১৮ রাউন্ড বুলেট, ১৩টি খোসা ও ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মরদেহটি থানায় নিলে স্থানীয়রা তাকে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছৈয়দ আহমদ ছৈয়দুর ছেলে জিয়াউল বশির শাহীন ওরফে শহীদ বলে শনাক্ত করে। মরদেহটি পোস্টমর্টেমের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর হ্নীলা এলাকা থেকে জিয়াউলকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একদল লোক। এর ১২ ঘণ্টার মাথায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

কিন্তু ওসি প্রদীপ তাকে তুলে নেয়ার বিষয়টি জানেন না উল্লেখ করে বলেন, নিহত জিয়াউল বশির শাহীন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার মরদেহ উদ্ধার ও পুলিশের উপর হামলা, ইয়াবা এবং অবৈধ অস্ত্র জব্দের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হচ্ছে।