দুর্ঘটনায় পড়া ইউএস বাংলা বিমানের যাত্রী যা বললেন

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি কক্সবাজারে অবতরণ না করে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হওয়ার পর যাত্রীরা ভীত হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন বিমানটিতে থাকা এক যাত্রী।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় সামনের চাকা না খোলায় বিমানটি মুখ থুবড়ে পড়ে। এ সময় বিমানে ১৬৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু ছিলেন।

নাইলা নাজনিন নামে বিমানের এক যাত্রী ওই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা জানান সময় সংবাদকে।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে ল্যান্ড করার সময় আমাদের বলা হলো, তারা ল্যান্ড করবে। কিন্তু ল্যান্ড করতে গিয়ে হঠাৎ করেই আবার উপরে উঠায়ে নিল। এ সময় আমরা সবাই ভয় পেয়ে গেলাম, জিজ্ঞেস করার পর তারা বলল যে, সিগনালে তাদের সমস্যা।’

এরপর বিমানটি অনেকক্ষণ আকাশে উড়ে। পরে রাস্তা বদলে এটিকে চিটাগং এয়ারপোর্টের দিকে নিয়ে আসা হয়।

ওই যাত্রী বলেন, ‘অনেকক্ষণ তারা আমাদের নামায়নি (অবতরণ করেনি)। এরপর তারা আমাদেরকে চিটাগং এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়েছে। আমরা সবাই কোনোমতে ইমারজেন্সি লাইনে নেমে আসছি।’

দুর্ঘটনার পর ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, উড়োজাহাজটির সামনের অংশে কোনো একটি ত্রুটি ধরা পড়ার পরেই তা দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে, যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় নামানো সম্ভব হয়েছে।

তবে বিমানের যাত্রী নাইলা নাজনিন বলেন, ‘এখানে মোটামুটি সবাই ইনজুরড, হাত-পা কেটে গেছে। ইভেন আমার বড় বোনের অবস্থা একটু বেশিই খারাপ, ওনাকে হসপিটালে নেওয়া হয়েছে।’