দুর্নীতির মামলায় আপিলে খালাস পেলেন ত্রাণমন্ত্রী মায়া

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের ওপর পুনঃশুনানির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে নিম্ন আদালতের দেয়া ১৩ বছরের সাজার রায় বাতিল করে তাকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার হাইকোর্টে আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আদালতে আজ মায়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

২০০৭ সালের ১৩ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেছিলেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে জরিমানাও করেন। আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক, যার শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ।

একইসঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। পরে রিভিউও খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগের আদেশ অনুসারে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়। গত ১৪ আগস্ট পুনঃশুনানি শেষ করেন আদালত। ওই দিন আদালত রায়ের জন্য ৭ অক্টেবর দিন ধার্য করেছিলেন। তবে গতকাল আসামিপক্ষ আবার শুনানি করেন।