দূষণকারীদের দিয়েই নদী পরিষ্কার করালো বিআইডব্লিউটিএ

কারখানার পলিথিন বর্জ্য ফেলে নদী দূষণের অভিযোগে কারখানা কর্তৃপক্ষকে দিয়েই ওইসব বর্জ্য পরিষ্কার করিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বুধবার রাতে বুড়িগঙ্গা নদীর কামরাঙ্গীরচর থানার মুসলিমবাগের বাগচাঁনখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিআইডব্লিউটিএ জানায়, তিন মাসব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার করা ভূমি থেকে বর্জ্য, রাবিশ, মাটি ও বালু অপসারণসহ দূষণ প্রতিরোধের কাজ চলছে। চলমান কাজ সরেজমিন পরিদর্শনকালে রাসেদ ট্রেডার্স নামক একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি কর্তৃক বিপুল প্লাস্টিক, পলিথিনের উচ্ছিষ্ট বস্তায় ভরে এবং উন্মুক্তভাবে সরাসরি নিক্ষেপ করে নদীর তীরভূমি ও নদীগর্ভ দখল করে রাখতে দেখা যায়।

অপরাধ বিবেচনায় কারখানার ম্যানেজার সাইদুর রহমান ও সবুজ নামে দুজনকে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ। পরে কারখানা মালিক রাসেদকে তলব করা হয়। দূষণকারীরাই নদী পরিষ্কার করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘চাপে পড়ে হোক আর স্বতঃস্ফূর্তভাবেই হোক, রাতে মালিক, ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজারসহ কারখানার লোকজন নদীর মধ্যে নেমে তাদের নিক্ষেপিত ময়লা, আবর্জনা নিজেরাই পরিষ্কার করেছে।’

আরিফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘দায়িত্ব-কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে বা কোন অসৎ উদ্দেশ্যে যারা নদী দখল, ভরাট বা দূষণ করছেন, এ ঘটনা থেকে সতর্ক হয়ে বা শিক্ষা নিয়ে তারাও নদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন।’

গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরভূমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযানে নামে বিআইডব্লিউটিএ। ৩৬ কার্যদিবসে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩ হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় নদী তীরভূমির ৯১ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বর্তমানে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রয়েছে।