দেশের গণতন্ত্র এখন সুরক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন সুরক্ষিত এবং যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি একটি সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে এবং গণতন্ত্র সুরক্ষিত। আমরা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার মতো জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী শনিবার গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী, পেশাজীবী, বিচারক এবং বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে উন্নত। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানও উল্লেখযোগ্য হারে উন্নত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার হার এবং জনগণের গড় আয়ু বেড়েছে এবং সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘এই সাফল্য অর্জন করতে দেশকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। আমরা এখন যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জনগণ একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এবং আমরা দেশকে সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশ সেই পথে এগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের এক পর্যায়ে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশের জনগণ তাদের সারাটি জীবন একটি আনন্দমুখর পরিবেশে কাটাবে এবং আমি চাই তারা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও দুই লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঈদের নামাজ শেষে সর্বস্তরের মানুষ এসে ভিড় করলে সকাল ৯টায় সাধারণের জন্য গণভবনের গেট খুলে দেওয়া হয়।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং তিন বাহিনী প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহম্মদ ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক এবং সাহারা খাতুন, কেন্দ্রীয় নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, জাহাঙ্গির কবির নানক, অশিম কুমার উকিল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী পরে গণভবন লোনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বন্ধু প্রতিম দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণের সঙ্গে পৃথকভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।