দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়ছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশাভ্যান চালক আর খেটে খাওয়া মানুষ। দাবদাহ থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের ছাতা নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমের কারণে নানান রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গরমে সঙ্গে চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। সব মিলিয়ে বিপর্যস্থ জনজীবন।

কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। গরমে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের জীবন অষ্ঠাগত।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের দেয়া তথ্যমতে, কয়েক দিন ধরে জেলায় সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা অবস্থান করছে। দাপদাহে দিনে শহরের রাস্তাঘাট ও হাঁট বাজারে মানুষ জনের চলাচল কমে গেছে।

তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে কষ্ট বেড়ে গেছে রোজাদারদের। বিশেষ করে ইফতার এবং তারাবির অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দেয় মসুল্লিদের মাঝে।

শহরের মসজিদ পাড়া মহল্লার কলেজ শিক্ষক কুদরত ই খোদা মুন বলেন, এমন তীব্র গরম এর আগে অনুভূত হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। গরমের কারণে কোথাও শান্তি পাওয়া যায় না। আবার বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের অবস্থা আরও খারাপ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।