‘দেশের ১৪ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। তবু দেশের ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৪ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, মাত্র ১৩ শতাংশ জনগণের দূরবর্তী উৎস থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। একই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন, ২৮ শতাংশ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ জনগণ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে।

মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার ও টিপু সুলতানের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, নিরাপদ পানি ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অধিক নির্ভরশীলতার কারণে পানির স্তর ৩ মিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি জানান, এ অবস্থা হতে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা পরিষদের পুকুর, দীঘি, জলাশয়গুলো পুনর্খনন ও সংস্কারে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর আওতায় সারা দেশে মোট ৮০৯ টি পুকুর পুনর্খনন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। যার প্রাক্কলিত ব্যয় মোট ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং মেয়াদকাল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পৌরসভাগুলোতে নিরাপদ জলের জন্য নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ১২২টি পৌরসভায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্প, ৪০টি পৌরসভা ও গ্রোথ সেন্টারে অবস্থিত পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং থানা সদর ও গ্রোথ সেন্টারে অবস্থিত পৌরসভাগুলোয় পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।