দেশে আসতে চান ডা. জোবায়দা, বড় বাধা পাসপোর্ট

দেশে আসতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। কবে নাগাদ তিনি আসবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। দেশে ফিরলেও আপাতত তিনি রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন না। স্বল্প সময়ের জন্য তিনি আসবেন কারাবন্দি শাশুড়িকে চিকিৎসাসেবা দিতে। লন্ডন ও স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে লন্ডন থেকে মেয়েদের নিয়ে দেশ ঘুরে গেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি দেখাও করেছেন।

ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, পেশায় চিকিৎসক জোবায়দা আসছেন মূলত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গেও এ বিষয়ে তিনি কথা বলবেন।

শাশুড়ি অসুস্থ হলে পুত্রবধূই তার চিকিৎসার যাবতীয় বিষয় দেখাশুনা করতেন। খালেদা গত বছর যখন লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তখনো সার্বক্ষণিক তার পাশে ছিলেন জোবায়দা।

জিয়া পরিবারের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত একজন চিকিৎসক বাংলাদেশের খবরকে জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনায় খালেদা জিয়া সন্তুষ্ট নন। তিনি তাদের প্রেসক্রিপশন গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সরকারের তরফে বিএনপি নেত্রীর পছন্দের চিকিৎসকদের নাম দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু নিজের দলের চিকিৎসকদের ব্যাপারেও জিয়া পরিবার খুব একটা আস্থা রাখতে পারছে না।

কারাবন্দি নেত্রীর এক নিকটাত্মীয় জানিয়েছেন, দলের আইনজীবী এবং সিনিয়র কয়েকজন নেতার হাবভাব দেখে খালেদা জিয়া তার পরিবারের বাইরের কাউকেই আর বিশ্বাস করতে পারছেন না। এজন্যই ডা. জোবায়দা ঢাকায় আসছেন।

চোখের চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন যান খালেদা জিয়া। সে সময় পায়ের চিকিৎসাও করান তিনি। তখন তার চিকিৎসার সার্বিক বিষয় তদারকি করতেন ডা. জোবায়দা। দেশে ফেরার পর নতুন কোনো ওষুধ প্রয়োজন হলে খালেদা তারই পরামর্শ নেন। এমনকি কারাগারে থাকা অবস্থায় সরকারের গঠিত মেডিকেল বোর্ড যে ওষুধ দিয়েছে তাও তিনি জোবায়দার সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে চান।

ডা. জোবায়দা রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো তার পাসপোর্ট। ২০১৩ সালে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারেক রহমান এবং তার পরিবারের কেউই পাসপোর্ট নবায়ন করেননি। তবে নিজ দেশে ফিরতে চাইলে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অস্থায়ী এন্ট্রি ডকুমেন্ট নেওয়া যায়। হয় এরকম একটি ডকুমেন্ট নিয়ে অথবা নতুন পাসপোর্ট করে ডা. জোবায়দা দেশে আসতে পারেন। উল্লেখ্য, জোবায়দা রহমান ও তার মায়ের বিরুদ্ধেও মামলা আছে, যার তদন্ত চলছে।

ডা. জোবায়দা তার একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান। ১০ বছর ধরে তিনি সেখানেই আছেন। তিনি সরকারি চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করতেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে ২০১২ সালে তিনি বরখাস্ত হন।