দেশে টেস্টে ক্যারিবিয়দের হারানোর এটাই কি সুযোগ?

বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট ফরম্যাটে ২০০৯ সালেই সিরিজ জিতেছে।

২০১২ সালেই বাংলাদেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে কাল থেকে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে।

এই সিরিজটি ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর বড় সুযোগ মনে করছেন কি সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা?

মি: হীরার মতে, এটা একটা মাঝারি মানের দুটো দলের লড়াই। যেখানে কেউ কারো চেয়ে খুব ভাল নয়।

“বাংলাদেশ এমন একটা দল যারা নিয়মিত লম্বা ফরম্যাটের ম্যাচ খেলে না। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঠিক মানসম্মত টেস্ট দল বলতে যেটা বোঝায় সেটা না, তাই এখনই বলা কঠিন কে এগিয়ে,” বলছিলেন মি: হীরা।

স্বভাবত বাংলাদেশের কন্ডিশনে বাংলাদেশ একটু এগিয়ে থাকে। তবু টেস্টে ঠিক এগিয়ে কিনা সেটা বলা কঠিন।

কারণ গেল দুই-তিন বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো পূর্ণশক্তির দলের সাথে বাংলাদেশ ড্র করেছে। আবার শ্রীলঙ্কার মত ক্ষয়িষ্ণু শক্তির দলের বিপক্ষেও ড্র করেছে বাংলাদেশ।

আর সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও ড্র করেছে বাংলাদেশ।

অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কন্ডিশন নিয়ে খুব একটা বিপাকে পড়বে না কারণ সদ্যই ভারতের মাটিতে সিরিজ খেলেছে দলটি।

সেখানে সিরিজ জিততে না পারলেও ভারতকে জেতার জন্য রীতিমত লড়াই করতে হয়েছে ক্যারিবিয়দের বিরুদ্ধে।

তবু দুটো দলকে আলাদা করা যায় এমন কিছু নিয়ামকের কথা বলেছেন শফিকুল হক হীরা, “তার মধ্যে একটা হচ্ছে বোলারদের সক্ষমতা, চট্টগ্রামের উইকেটে বড় স্কোর হলে সাধারণত ম্যাচ ড্র হয়, সেক্ষেত্রে বোলারদের দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে।”

ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজে নেই জেসন হোল্ডার, বাংলাদেশে নেই তামিম ইকবাল। এদিক থেকেও বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একই কাতারে।

শফিকুল হক হীরা বাংলাদেশ দল সম্পর্কে বলেন, “ওপেনিং জুটি কিছুটা নড়বড়ে, লিটন নেই, তামিম নেই। স্পিন ঠিকমতো কাজ করছে কিন্তু পেস বোলিংয়ে বেশ দুর্বল, মুস্তাফিজের টেস্ট ফর্ম তেমন ভালো নয়।”

“ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো ও খারাপ দুটোই করেছে ভারতের মাটিতে, একটা মিশ্র পারফরম্যান্স। তবে ওদের ফাস্ট বোলিংটা ভালো,” বলছিলেন মি: হীরা।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চারজন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান নিয়মিত হিসেবে এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এটাও টেস্ট দলের নিয়মিত পারফরম্যান্সকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানিয়েছেন মি: হীরা।

-বিবিসি বাংলা