দেশে ফিরে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প শোনাব : বার্নিকাট

প্রায় চার বছর বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে বিকালে নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। আর যাওয়ার সময় মূল্যায়ন করে গেছেন, বাংলাদেশ একটি সফল দেশ।

দেশ ছাড়ার আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে বার্নিকাট বলেন, ‘যেখানে যাব, সেখানেই বাংলাদেশের সফলতার গল্প বলব।’

যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে বার্নিকাট ঢাকায় আসেন ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি।

পৌনে চার বছরে ৩৭ বছরের চাকরি জীবন থেকে অবসর নিতে যাওয়া এ কূটনীতিক গভীরভাবে চিনেছেন বাংলাদেশে তথা এদেশের সংস্কৃতিকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একটু-আধটু বাংলা বলার চেষ্টা করেছেন। মাঝে মাধ্যে পরেছেন বাঙালি নারীর প্রিয় পোশাক শাড়ি। বিদায়ের আগে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে করেছেন বাঙালি সাজেই জামদানি পরেই।

মঙ্গলবার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের বার্নিকাট স্পষ্ট করেছেন তার দায়িত্বের কথাও। বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি, দল বা জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা কোনো সমর্থন নেই। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। সে অনুযায়ীই তিনি কাজ করেছেন। তিনি কেবল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যে আদর্শ নিয়ে চলে, তার প্রতিই সমর্থন নিয়েই কথা বলেছেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন।

বরাবরের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার ওপর জোর দেন বার্নিকাট। জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সংকটকে ওয়াশিংটনের কাছে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করেছেন তিনি। যে কারণে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড্যান মোজিনা। তার স্থলাভিষিক্ত হন বার্নিকাট। ৩৭ বছর চাকরি জীবন শেষে অবসর নেয়ার মাত্র কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন বার্নিকাট।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইতিমধ্যে আর্ল রবার্ট মিলারের নাম ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১৩ অক্টোবর মার্কিন সিনেটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে অনুমোদনও পান মিলার। আগামী ১৮ নভেম্বর তিনি ঢাকায় আসবেন।

আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মিলার।