ধর্ষক যখন ছাত্রলীগ নেতা!

চাঁদা না দয়োয় টেম্পুচালক স্বামীকে বেঁধে নববধূকে (২২) ধর্ষণ করলো বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা।

শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বেতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মামলা করেন।

মামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচকে আসামি করা হয়েছে। সুমন হোসেন মোল্লা ওই গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

নির্যাতিত ওই নববধূ উপজেলার সলিয়াবাকপুরের বাসিন্দা ও টেম্পুচালক সেলিমের স্ত্রী। সেলিম চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি টেম্পু চালাতেন।

সেলিম জানান, ১৫ দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বানারীপাড়ায় আসেন। কিন্তু প্রথম স্ত্রী কোনোভাবে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে বেতাল গ্রামে নানা শামসুল হাওলাদারের বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করি।

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা সুমন দলবল নিয়ে এসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে সেলিম ও তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামের বেতাল ক্লাবের পাশের একটি কক্ষে আটকে রাখেন সুমন হোসেন মোল্লা। পরে তাকে এখানে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায় ফুফু আনোয়ারা বেগমের বাসায়।

সেখানে গিয়েও টাকা দাবি করেন সুমন। দাবি করা টাকা না দেয়ায় ফুফু আনোয়ারা বেগমকে একটি কক্ষে আটকে রেখে সুমন মোল্লা তার স্ত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করে।

পরে সেলিমের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। এরপর সেলিম তার ফুফুর বাসায় এলে স্ত্রী ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলেন। ধর্ষণের সময় সুমনের সঙ্গে আরও চারজন ছিলেন বলেও জানান তিনি।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানা হয়েছে বলেও জানান তিনি।