ধর্ষণের ভয়ে এবার চলন্ত ট্রেন থেকে মা-মেয়ের ঝাঁপ

বেসরকারি ফার্মে চাকুরের স্ত্রী ও মেয়ে। ট্রেনে আরাম দায়ক ভ্রমণ, তাই মা মেয়ে নিশ্চিন্তে যাচ্ছিল। কিন্তু তাদের সেই সুখের ভ্রমণ যে সম্ভ্রম হারানো তৃক্ত অভজ্ঞতা হবে কে জানতো। কিন্তু তা হতে দেয়নি তারা। জীবনের বিনিময়ে হলেও তা হতে দেয়া যায় না। তাই মা মেয়ে দু’জনই চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কানপুর স্টেশনের কাছে। হাওড়া-যোধপুর ট্রেনে শনিবার (১১ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটে।

মা ও মেয়ে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছিল। একটি আনরিজার্ভড কোচে ছিল তারা। কয়েকজন দুর্বৃত্ত মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে টয়লেটের কাছে নিয়ে যায়। চান্দেরি ও কানপুর রেল স্টেশনের মাঝে ঘটনাটি ঘটে। ফলে বাধ্য হয়েই ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারে মা ও মেয়ে।

ঝাঁপ মারার পর প্রায় ঘণ্টা দুয়েক তারা অজ্ঞান হয়েছিল। জ্ঞান ফেরার পর আহত দু’জন চান্দেরি রেল স্টেশনে পৌঁছয়। সেখানকার মানুষ তারপর তাদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। লালা লাজপত রায় হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়।

রবিবার (১২ নভেম্বর) খবরটি জানতে পারে জিআরপি। কানপুর জিআরপি-র এসএইও মোহন রাই জানান, তারা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এফআইআর রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেছেন।

মেয়েটি নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা দিল্লির একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছেন ট্রেনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন দুর্বৃত্ত ছিল। ট্রেন যখন হাওড়া থেকে ছাড়ে, প্রথমে তারা তার মেয়েকে টিজ করছিল। তারপর মেয়েটেকে তারা টয়লেটের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তিনি এনিয়ে দু’বার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

প্রথমবার এলাহাবাদের কিছু আগে, পরে এলাহাবাদে। কনস্টেবলরা তাকে সাহায্য করেন। ট্রেনে উঠে ৩ জনকে আটক করেন তারা। তাদের চড়ও মারেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। পরে পুলিশ যাওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসে। আবার ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়। সেই কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেন থেকে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ মারেন তিনি।

ওই নারীর অভিযোগ ছাড়াও রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরাও অভিযোগ জানিয়েছেন। উত্তর মধ্য ভারতের রেলের পিআরও গৌরব বনশল জানিয়েছেন, ঘটনাটি হাওড়ার কাছে ঘটেছিল। তাদের এলাকায় ঘটেনি। ফলে গোচা বিষয়টাই তাদের বিচারব্যবস্থার বাইরে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে