ধর্ষণ করলো বাবা, বিষ খেলো ছেলে

পাশের বাড়ির নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে নানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে বাবা কাছে ভাগ্নি ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় কিটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মামা।

পৌঢ় বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সইতে না পেরে এমনটি করেছে সতেরো বছরের ওই তরুণ বলে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের গাইঘাটায় এ ঘটনা ঘটেছে।

কী হয়েছিল সেদিন?
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী বসিরহাট মহকুমার বাসিন্দা। তার বাবা ভ্যান চালাক। মা পুণেতে গেঞ্জি কারখানার শ্রমিক। বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক না-থাকায় গাইঘাটায় মামাবাড়ি থেকে সে পড়াশোনা করে।

রোববার সকালে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। কিছুদিন আগে থেকেই মেয়েটি জ্বর হওয়ায় সে বাড়িতেই ছিল। অভিযুক্ত ওই পৌঢ় মেয়েটির দূর সম্পর্কের নানা। তার জ্বর কমেছে কিনা, জানার অছিলায় প্রৌঢ় ওই বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

বাড়ির ভাঙা টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে এলাকার এক বাসিন্দা দেখে ফেললে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে প্রৌঢ়কে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এলাকায় যখন এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়, তখনই বাড়িতে কীটনাশক খায় প্রৌঢ়ের মেজো ছেলে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তের স্ত্রী বা পরিবারের কেউকথা বলতে চাননি। নির্যাতীতার নানি ওই পৌঢ়র কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয় চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।