ধর্ষণ শেষে ২ ছাত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যা, চার বছরেও হয়নি বিচার

মাদারীপুরে ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে দুই স্কুলছাত্রীকে হত্যার চার বছরেও বিচারের আওতায় আসেনি অভিযুক্তরা। শেষ হয়নি তদন্তের কার্যক্রম। অভিযুক্তদের দ্রুত না বিচার হওয়ায় দিনদিন অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করে সুশীল সমাজ। এ অবস্থায় ন্যায্য বিচার পেতে বাদীকে উচ্চ আদালতে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট মাদারীপুরের মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ও হ্যাপীকে ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে হত্যার ঘটনায় থানা ও আদালতে দুটি মামলা করেন নিহতদের পরিবার। মামলা দুটিতে আলাদাভাবে তদন্ত শেষে পুলিশ ও সিআইডি’র কর্মকর্তারা মূল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে নারাজি দেয় বাদী।

এরপর অধিকতর তদন্তের জন্য আদালত পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। নিহতের পরিবার আশায় বুক বেঁধেছে পিবিআই’র তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত অপরাধীদের নাম। পাবেন ন্যায়বিচার।

দীর্ঘ চার বছরেও এমন ঘটনার বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ। মাদারীপুর মানবাধিকার কর্মী ও ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, সন্ত্রাসীরা এখনও ভুক্তভোগীদের বাড়িতে হামলা করছে। ভুক্তভোগীরা তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। এ ঘটনার দ্রুত বিচার হওয়া উচিত ছিল।

এসব ঘটনার দ্রুত বিচার না হওয়ায় অন্যদের মাঝেও এমন অপরাধ করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছে সচেতন নাগরিক কমিটি।

মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি খান মোহাম্মদ শহীদ বলেন, পুলিশ ও সিআইডি’র পক্ষ থেকে শিপন শিকদার ও রফিকুল ইসলাম সজীবের নাম বাদ দিয়ে মেহেদী, আল-আমিন, নাজমুল, উজ্জ্বল, রকিবসহ আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বর্তমানে মামলার তদন্তকারী পিবিআই’র কর্মকর্তারা।