ধানের শীষের প্রার্থীর পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা

বরিশাল-৪ আসনে নাগরিক ঐক্যের ধানের শীষের প্রার্থী নুরুর রহমান জাহাঙ্গীরের ওপর হামলা চালিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা; যাদেরকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পংকজ দেবনাথের কর্মী-সমর্থক বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল বিএনপির নেতা মেজবাউদ্দিন ফরহাদ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে বুধবার দুপুর ১টার দিকে পাতারহাটে যান ধানের শীষের প্রার্থী নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর। বন্দর সংলগ্ন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার হোসেন আলমের বাসায় ওঠেন তিনি। কিছুক্ষণ পরই নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে মারধর করে। মারধরে জাহাঙ্গীরের শরীরেন একাধিক স্থানে জখম হয়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে দেয় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় স্পিডবোটে তুলে বরিশাল নগরীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

মেজবাউদ্দিন ফরহাদ বলেন, নুরুর রহমান জাহাঙ্গীরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে গেছে। সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে।

মেজবাউদ্দিন ফরহাদ বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পংকজ দেবনাথের কর্মী-সমর্থকরা একের পর এক হামলা করে যাচ্ছে। পুলিশ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা উপজেলায় বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার ঘটানাস্থলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা চরগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বারী মনির বলেন, বুধবার দুপুরে বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির সমাবেশ চলছিল। সমাবেশের পাশ দিয়ে ৪-৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর বিএনপি নেতা আফসার হোসেন আলমের বাসায় যান। পরে খবর পাই সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে মারধর করেছেন। এ খবর পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করা হয়।

হামলার বিষয়টি স্বীকার করে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. শাহিন খান বলেন, ধানের শীষের প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।