ধেয়ে আসছে ফণী, পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশায় সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টি মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়বে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এরপর ফণীর অভিমুখ হবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর এর গতিবেগ কিছুটা কমে যাবে।

তবে শক্তি কমলেও এটি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১৫ কিলোমিটার বেগে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে। সে কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী তিনদিন ওড়িশার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় যেখানে ফণীর জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেখানে ছুটি দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার খাতিরে। যেখানে সতর্কতা নেই, সেখানে এই ছুটি বর্ধিত গরমের ছুটি হিসেবে ধরা হবে। অর্থাৎ সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে কাল থেকেই গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। প্রয়োজনে শেষের দিকে ছুটির মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।

দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সেকেন্ড ব্যাটালিয়ন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ নম্বর ব্লকে মোতায়েন হয়েছে এনডিআরএফ-এর একটি দল। গতকাল থেকেই দিঘায় পর্যটক ও বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন এনডিআরএফ কর্মীরা। এছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে এনডিআরএফ-র ৬টি টিম।

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল, পশ্চিম মেদিনীপুরের নায়ারণগর, খড়গপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ, উত্তর চব্বিশ পরগনার ধামাখালী ও হাসনাবাদে রয়েছে বাকি দলগুলো। ফণী আছড়ে পড়ার সময় ও তার আগে-পরে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে তা গ্রামবাসীকে বোঝাচ্ছেন তারা। চলছে লাগাতার প্রচারণা। পরিস্থিতি মোকাবেলার রণকৌশল স্থির করতে আজ নবান্নে আপতকালীন বৈঠক করেছেন এনডিআরএফ-এর কর্মকর্তারা।