ধোনিকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক

এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ১৪৪ রানের ইনিংস খেলে মহেন্দ সিং ধোনিকেও ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম। শুধু ধোনি নয়, শ্রীলংকান সাবেক অধিনায়ক কুমার সঙ্গাকারার রেকর্ডও ভাঙেন মুশফিক।

উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে গেলেন মুশফিক। এর আগে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সঙ্গাকারা পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেছিলেন। আর হংকংয়ের বিপক্ষে মহেন্দ্র সিং ধোনি করেছেন ১০৯ রান।

গত শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়িয়েছে এশিয়া কাপের ১৪তম আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। দলীয় ২ রানেই ফিরে যান লিটন-সাকিব। এরপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে তামিমের আঘাত। দলীয় এ রানেই সুরঙ্গা লাকমলের বাউন্স লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বাঁহাতের কব্জিতে আঘাত পান তিনি। এতে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ড্যাশিং ওপেনার।

ফলে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মুশফিক। প্রথমে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ১৩১ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়েন তিনি। শেষদিকে তামিমের সঙ্গে ৩২ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যার সবকটি রানই এসেছে তার ব্যাট ব্যাট থেকে। মাঝে মাত্র ১টি বল খেলেন তামিম।

দুজনের দৃঢ়চেতায় ২৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় বাংলাদেশ। ১৫০ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে থিসারা পেরেরার শিকার হয়ে ফেরেন মুশফিক। ২ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।

১৪৪ রানের ইনিংসটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মুশফিকের সেরা। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ১১৭। ২০১৪ সালে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে এ দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলেন তিনি।

মুশফিকের অনবদ্য সেঞ্চুরির ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। লংকানদের ১৩৭ রানে হারিয়েছেন টাইগাররা। দারুণ বোলিং করেছেন বোলাররা। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মেহেদী প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। মূলত মুশির দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে তারা ভালো করার ভিত্তি পেয়েছেন। তাই বুক চিতিয়ে লড়াকু সেঞ্চুরি জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের হাতে।