নতুন মন্ত্রীদের মনিটরিংয়ে রাখতে হবে : আরেফিন সিদ্দিক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর শপথ নেয়ার একদিন আগেই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন এ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে একঝাঁক নতুন মুখের। আজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ নেয়ার কথা।

টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে।

এতে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ২৪ জনের মধ্যে ৯ জনই নতুন। বিদায়ী সরকারে না থাকলেও এর আগের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন এমন তিনজন নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।

এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ১৯ জনের মধ্যে তিনজন বাদে সবাই নতুন। আরও তিন নতুন মুখ এসেছে তিন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্বে। নতুনদের কেতন উড়িয়ে গঠিত নতুন এ মন্ত্রিসভাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

নতুন মন্ত্রিসভা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে নতুন যে মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।

তবে যারা নতুন এসেছেন, তাদের অবশ্যই মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। সমস্যা দেখা দিলে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস করতে হবে।

কেননা বর্তমান মহাজোট সরকার বিপুল বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করছে। এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

যেসব সিনিয়র নেতা মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি, তাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনিয়রদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে প্রধানমন্ত্রী হয়তো অন্যভাবে ব্যবহার করবেন, তাই তাদের মন্ত্রিসভায় রাখেননি।

নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা জানতে চাইলে সাবেক এই ভিসি বলেন, অবশ্যই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে নতুন মন্ত্রিসভা আন্তরিক হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সামাজিক অসঙ্গতি দূর করে সুন্দর সমাজ গঠনে সরকার কাজ করবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।