আজ বেরোবি’র প্রতিষ্ঠা দিবস

নবম বছর পেড়িয়ে দশম বছরে পদার্পণ

এইচ. এম নুর আলম : আজ ১২ অক্টোবর। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) দিবস। এই দিনে ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর এ দিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে আজ পূর্তি করতে যাচ্ছে নবম বছর। রঙ্গ রসে ভরা রংপুর আর এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের দ্বারে অবিস্মরণীয়। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে রংপুরের পায়রাবন্দের মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত এর নাম।

রংপুর অঞ্চলের জনমানুষের আত্মার সাথে জড়িয়ে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এর ইতিহাস পুরনো। ১৯৪৭ সালের পর থেকে রংপুর অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন এর সময় এটি প্রতিষ্ঠিত। প্রথম দিকে এটির নাম ছিলো রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রংপুরের টিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এ ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল শিক্ষাকার্যক্রম আরম্ভ হয়। ঐ সময় আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্যাম্পাসটি রংপুরের মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ‘‘২০০৯ সনের ২৯ নং আইন’’ নামে পাশকৃত গেজেটে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর’ অভিহিত হয়। রংপুরের মর্ডান মোড় রংপুর ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে এবং কারমাইকেল কলেজের পূর্ব-দক্ষিণে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় দু’টি অনুষদের অধীনে ৬ টি বিভাগ থাকলেও এখন ২১ টি বিভাগ নিয়ে সগৌরবে চলছে উত্তরবঙ্গের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েকটি পরিচিতি রয়েছে যেমন: উত্তরবঙ্গের অক্সফোর্ড, প্রাচ্যের ক্যালিফোর্নিয়া, স্বপ্নের বেরোবি ইত্যাদি। সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল জলিল মিয়ার সময় এটি ‘পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবেও পরিচিত হয়ে ওঠে।

২০১১ সালের কথা। ১ম পর্যায়ের কাজ অনুযায়ী, মসজিদের নির্মাণ কাজ তখনো চলছিলো ঢিমেতালে। সে সময় ছিলো না কোনো দেবদাড়–, বকুলতলা কিংবা কৃষ্ণচূড়া রোড। ২০১১-১২ সালের ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে স্থাপিত হয়নি অনেক ভবন। এমনকি প্রশাসনিক ভবনও তখন সম্পূর্ণ নির্মাণ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাগুলোতে ইট বিছানো ছিলো। রাস্তার দুইপাশে ইট দিয়ে ঘেরাও করে দেবদাড়–, কৃষ্ণচূড়া আর বকুলগাছ লাগানো হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ছিলেন কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। ২০০৯ সালে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে তাঁর স্থলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হয়ে আসেন পীরগঞ্জের অধিবাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল মিয়া।

তাঁর সময়েই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি ও উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, একাডেমিক ভবনগুলো নির্মাণ, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনার।

২০০৮-০৯ সেশনই ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষাবর্ষ। এই শিক্ষাবর্ষের ভর্তি সেশনে প্রথমে ৩০০ আসনের বিপরীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। দুইটি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগের মধ্য দিয়ে ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে সেই সময়ের ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’। কলা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ছিলো- বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি এবং বিজনেজ প্রশাসন। বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ছিলো- গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

২০১১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হাত ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসটির আয়তন ৭৫ (পঁচাত্তর) একর। বর্তমান অনুষদের সংখ্যা ৬টি; সেগুলো হলো- কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান এবং বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদ। পূর্বের কলা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভেঙে স্বতন্ত্রভাবে কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ করা হয়। বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদকে ভেঙে স্বতন্ত্রভাবে বিজ্ঞান অনুষদ ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৃথকভাবে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ খুলে জীব ও ভূ-বিজ্ঞান নামে নতুন অনুষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। অপরদিকে বিজনেজ প্রশাসন বিভাগকে পুনর্গঠন করে ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ এবং ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ নিয়ে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ নামকরণ করা হয়। বর্তমানে কলা অনুষদের অধীনে বাংলা, ইংরেজি এবং ইতিহাস ও প্রতœতত্ত¡ বিভাগ; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বর্তমানে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং লোকপ্রশাসন বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রয়েছে- গণিত, পরিসংখ্যান, পদাথবিজ্ঞার্ন, এবং রসায়ন বিভাগ। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিষয় ওয়েবসাইটে (www.brur.ac.bd) সন্নিবেশিত করা থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক- ১৪৫; কর্মকর্তা-১১২; কর্মচারি-৪০০; শিক্ষার্থী প্রায় ৯ হাজার; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুখতার ইলাহী নামে ছাত্রদের দুটি আবাসিক হল; শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামে ছাত্রীদের একটি হল এবং অপর একটি হল নির্মানাধীন রয়েছে। ছেলেদের হল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম-দক্ষিণে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনে অবস্থিত। আর মেয়েদের একটি হল উপাচার্যের বাংলোর পেছনে পশ্চিম-উত্তরে অবস্থিত এবং অপরটি হলটি তার সামনে দক্ষিণে ৩ নং খেলার মাঠে নির্মাণাধীন। শিক্ষকদের জন্য বসবাসের জন্য দুইটি ভবন (ডরমেটরি), কর্মকর্তাদের জন্য দুইটি ডরমেটরি রয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রশাসনিক ভবন এবং কেন্দ্রীয় মসজিদটির সামনে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেজ অনুষদে ২০১৪ সাল থেকে ‘সান্ধ্যকালীন কোর্স’ চালু আছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর ‘হেকেপ’ (একটি গবেষণা প্রকল্পের নাম) চালু রয়েছে ২০১২ সাল থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ‘সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সেন্টার’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একাডেমিক ভবন ৪ এর পেছনে অবস্থিত। এটি প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১১ সালের ১৯ মার্চ নিজস্ব দ্বিতল ভবনের মাধ্যমে নতুন করে যাত্রা করে। কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া উদ্বোধনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি-মসজিদ এবং উপাচার্যের বাসভবন রোড বরাবর প্রশাসনিক ভবনের পেছনে পশ্চিম দিকে। ২০১৬ সালের ১৩ মে উদ্বোধনকৃত কেন্দ্রীয় মসজিদটি ক্যাফেটেরিয়া-মেয়েদের হল এবং উপাচার্যের বাসভবন বরাবর শিক্ষকদের ডরমেটরির পেছনে অবস্থিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন আছে চারটি, সেগুলো কবি হেয়াৎ মামুদ ভবন, একাডেমিক ভবন-২, একাডেমিক ভবন-৩ এবং একাডেমিক ভবন-৪ নামে পরিচিত। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের দিকে এবং মর্ডান-লালবাগ রোড ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিউট। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ২ এ অবস্থিত সাইবার সেন্টার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ই-লার্নিং সেন্টারও রয়েছে। অস্থায়ীভাবে নির্মিত আছে শহীদ মিনার। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রভাগে শহীদ মিনারের পাশে নির্মানাধীন রয়েছে স্বাধীনতা স্মারক। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারি বহনের জন্য মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স, জিপ ও বাস মিলে পরিবহন রয়েছে ১৪ টি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দৃষ্টিনন্দিত বৃক্ষের নাম অনুসারে দেবদাড়– রোড ( ১ নং রাস্তা), কৃষ্ণচূড়া রোড ( ২ নং রাস্তা), বকুলতলা রোড (৩ নং রাস্তা) এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ৪ নং রাস্তা নামে পরিচিত। এদের প্রবেশদ্বারে গেইটগুলো যথাক্রমে ১ নং, ২ নং , ৩ নং এবং ৪ নং একাডেমিক গেইট নামে পরিচিত। একাডেমিক গেইট ২ কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশদ্বার বা ফটক বলা হয়। এ গেইট দিয়ে ঢুকেই পুলিশফাঁড়ি। এছাড়া এখানকার বেশকিছু জায়গারও নাম চমৎকার। যেমন- বাস স্ট্যান্ডের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলক এর নামে ‘হাসিনা চত্ত¡র’; সচরাচর মানববন্ধনগুলো অনুষ্ঠিত হয় চারটি একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনের মিলনস্থলে যার অঘোঁষিত নাম মিডিয়া চত্ত¡র এবং বর্তমান ঘোঁষিত নাম ‘শেখ রাসেল চত্ত¡র।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগানো হয়েছে প্রচুর ফলফলাদি-ঔষুধিসহ নানাজাতের বৃক্ষ।‘সবুজের পথে’সহ অন্যান্য উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় লাগানো হয়েছে এই বৃক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদও নিজ উদ্যোগে লাগিয়েছেন অনেক বৃক্ষ।

বিকাল হলেই ক্যাম্পাসে বসে মিলনমেলা। বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা ভীড় জমান ক্যাম্পাসে এসে। ক্যাম্পাসে বিকালে সবুজ ঘাসের উপর বসে স্টাডি গ্রæপ করে বিভিন্ন শিক্ষার্থী। কেউবা আপন মনে বাঁশি বাজায়। একটি মনোরম দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এই ক্যাম্পাসের সাবেক তৃতীয় উপাচার্য ড. একে এম নূর-উন-নবী’র মেয়াদ শেষে (৫ মে, ২০১৭) চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও। বর্তমান রেজিস্ট্রার হিসেবে রয়েছেন মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর। বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন গত ১৪ জুন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্স’ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি করে নান্দনিক স্থাপনা তৈরির কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্যাম্পাস রেডিও’ ও ‘ক্যাম্পাস টেলিভিশন’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। জনসংযোগ দপ্তরকে কার্যক্ষম করার জন্য এর কাজের পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শূণ্য পদে পরিচালক-সহকারি পরিচালক নিয়োগ প্রদান ও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সাবেক দুই উপাচার্যের সময়ে চলা আন্দোলনে ভীষণভাবে পর্যদুস্ত হয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাকার্যক্রম। অনার্স আর মাস্টার্স মিলে তিন বছরের সেশনজটের বোঝা বয়ে চলছে উত্তরবঙ্গের এই প্রতিষ্ঠানটি। এখনো সংকট রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষকের। প্রায় ২৫ জন শিক্ষক রয়েছেন শিক্ষাছুটিতে। রয়েছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বই, ল্যাবসহ অন্যান্য কিছুর তীব্র অভাব। চালুর অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। নাম সম্বলিত একটি ফটকও নির্মাণ হয়নি এখনো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক মানে উন্নীতকরণে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চালু করা হয়েছে ভিজ্যুয়াল ক্লাসরুম। অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন ধরণের সেমিনার-সিম্পোজিয়াম। সকলের প্রত্যাশা, নতুন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিটিএফও সকল প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন।

লেখক: শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ সাংবাদিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।