নবাবগঞ্জে ভণ্ড পীরের আস্তানায় এলাকাবাসীর ভাংচুর

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুরে মহিনউদ্দিন ওরফে মহিন নামে এক ভণ্ড ফকিরের আস্তানায় ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রায় শতাধিক মানুষ ওই ভণ্ড ফকিরের বাড়ি হামলা চালায়। এ সময় ফকিরের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

জানা যায়, এলাকাবাসীর হামলার সময় কৌশলে গা ঢাকা দেয় ভণ্ডপীর মহিন ও তার পরিবারের সদস্যরা। সে ওই এলাকারই হামিজ উদ্দিন মস্তানের ছেলে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এক সময় মহিন দিনমজুরের কাজ করতেন। কিন্ত ২০/২২ বছর আগে আকস্মিকভাবে তিনি ঝাড়ফুঁকের কাজ শুরু করেন। ক্রমেই এলাকায় পরিচিতি লাভ করেন মহিন ফকির হিসেবে। দিনে দিনে তার ভক্ত ও শিষ্যের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে বেশিরভাগ ভক্তই মহিলা। প্রতি বৃহস্পতিবার মহিলা ভক্তদের নিয়ে তার দরবার শরীফে বসানো হতো জলসা।

সেই জলসায় চলতো অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এভাবে চলছিলো তার ভণ্ডামি।
কিন্তু বিপত্তিবাধে ভণ্ড মহিন যখন তার এক ভক্তের বোনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেন। এই ঘটনা নিয়ে মহিন ফকিরের সাথে ওই ভক্তের একাধিকবার কথা হয়। মহিন ফকিরের সাথে ওই ভক্তের একাধিক ফোনালাপের রেকর্ড এলাকায় ছড়িয়ে গেলে ফাঁস হয়ে যায় সকল ভণ্ডামি। রেকর্ডে ইসলাম ধর্ম বিরোধী কিছু কথা রয়েছে। রেকর্ড শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়া তার অনেক কুকীর্তির কথা ফাঁস হয়ে যায় ওই রেকর্ডের মাধ্যমে।

প্রতিবেশি হেনা বেগম বলেন, মহিন ফকির দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তার কাছে আসা রোগিরা বেশিরভাগ মহিলা। আগে বৃহস্পতিবার তার দরবার শরীফে জলসা বসলেও এখন বসে না।

স্থানীয় খলিলুর রহমান বলেন, যে বাড়িটি ভাংচুর করা হয়েছে তা ৫/৬ বছর আগে মহিন ফকির তৈরি করেছেন। এখানে শুধু রোগিদের চিকিৎসা করতেন তিনি। কিন্ত এখন তো অনেক কিছু শুনতাছি। কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা আজ বাড়িটি ভাংচুর করেছে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মহিন ফকিরের সাথে যোগাযাগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এখনো আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।