নরসিংদীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বগারগোত গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বগারগোত গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাচ্চু মিয়া এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল সরকারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

নিহতরা হলেন বগারগোত গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আনোয়ার আলী (৪৫) ও একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে মোতালিব মিয়া (৪০)। এর মধ্যে আনোয়ার আলী ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার এবং মোতালিব আওয়ামী লীগ নেতা কামাল সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বগারগোত গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাচ্চু মিয়া ও কামাল সরকারের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বেশ কয়েকবার টেঁটাযুদ্ধের ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ মাস ছয়েক আগে টেঁটাযুদ্ধে বাচ্চু মেম্বারের সমর্থক মঙ্গল মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় ৪৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গতকাল বুধবার সব আসামি আদালতে হাজির হলে বিচারক কামাল সরকারসহ ১৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। জামিন পেয়েছেন বাকি ৩০ জন।

জামিনের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজ বাচ্চু মেম্বারের শতাধিক সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল সরকারের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বাচ্চু মেম্বারের সমর্থক আনোয়ার আলী (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আহত হন মোতালিব (৪০), কামাল (৪০), আক্কেল আলী (৬০), রহমত আলী (৬৫), শফিক (৪৫), ইমান আলীসহ (৪০) কমপক্ষে ১১ জন। তাঁদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁদের মধ্যে পথে মোতালিব মারা যান।