নারী ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের এক নারী ইউপি সদস্যকে (৪০) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়নের সাভার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত নারী ইউপি সদস্য জানান, তিনি পর পর দুইবার নারী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন এবং গতবারের নির্বাচনে ২৩ ভোটে হেরে যান।

তিনি বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে বরাট ইউনিয়নের রাধাকান্তপুরের বাহা মাতব্বর, উড়াকান্দার আরশাদ আলম ও সাভারের পরিতোষ নামের এক ব্যক্তি পুলিশের কথা বলে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে তারা। সেই সঙ্গে পুলিশের ভয় দেখিয়ে বলে এ কথা যেন কাউকে না বলি।

আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

নির্যাতিত নারী ইউপি সদস্য আরও বলেন, এ ঘটনার বিষয়টি নির্বাচনকালীন সময়ে রাজবাড়ীতে আসা সেনাবাহিনীকে জানাই। সেনাবাহিনী বিষয়টি শুনে আমাকে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান। জেলা প্রশাসক বিষয়টি মুঠোফোনে পুলিশ সুপারকে জানান। পরে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আমাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, আমার কাছে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এক নারী এসেছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ওই নারী ইউপি সদস্যকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।