নারী ফুটবল দলের দুই সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের কৃতি খেলোয়াড় মার্জিয়া আক্তার ও সাজেদা খাতুন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ধোবাউড়া থেকে এনে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়এই দুই কৃতি খেলোয়াড়কে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মার্জিয়া ও সাজেদাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মালা রানী সরকার ও তাদের দুই ভাই রাশেদুল ও শাহীনুর হাসপাতালে তাদের সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন।

তবে এ দুই কিশোরী ফুটবলার এখনও আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার।

বিকেলে স্থানীয় কলসিন্দুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মালা রানী সরকার জানান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অধীনে আবাসিক ক্যাম্পে অনুশীলনে ছিলেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য। এ ক্যাম্পে থাকা অবস্থাতেই সপ্তাহখানেক আগে তারা জ্বরে আক্রান্ত হন। সেখানে তাদের রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।

তিনি জানান, রোববার (০৭ জুলাই) মার্জিয়া আক্তারের ভাই রাশেদুল ইসলাম তাকে ঢাকা থেকে কলসিন্দুরে বাড়িতে নিয়ে আসে। সোমবার রাতে ফুটবল ফেডারেশন রক্ত পরীক্ষা করে জানায়- দু’জনের ডেঙ্গু হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয় বাফুফে।

মালা রানী বলেন, ফুটবল ফেডারেশন থেকে সকালে আমাদের স্কুল ফুটবলের কোচ জুয়েল মিয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। এরপর সেগুলো প্রিন্ট করে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের।

তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে ও ব্লাডের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলোর রিপোর্ট বুধবার (১০ জুলাই) হাতে আসবে। এখন স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ঢাকায় উন্নতমানের চিকিৎসা থাকলেও বাফুফে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের গাফিলতির কারণেই দুই কৃতি ফুটবলারের জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

তবে মার্জিয়া আক্তারের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম জানান, বাফুফে ওদের ঢাকায় রেখেই চিকিৎসা করাতে চেয়েছিল। ওরা নিজেরাই আসতে চেয়েছে। আমরাও ওদের ময়মনসিংহে নিয়ে এসেছি।

মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, সাধারণত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্রথম থেকেই ভালোমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হয়। ওদের বেলায় সেটি হয়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওরা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।