নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে ‘বিস্ফোরণের শব্দ’ মিলেছে!

সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি আর্জেন্টিনার সাবমেরিন এআরএ স্যান হুয়ানের। তবে নৌযানটির অবস্থান নিয়ে উদ্ধারকারীদের হাতে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। ৪৪ নাবিকসহ নিখোঁজের দিন সাবমেরিনটির শেষ অবস্থান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় বলে এবার নতুন তথ্য জানিয়েছে আর্জেন্টিনার নৌবাহিনী।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আর্জেন্টিনা নৌবাহিনীর মুখপাত্র এনরিক বালবি।

মুখপাত্র বলেন, ‘একটি ভিন্ন ধরনের, একক, ক্ষণস্থায়ী, অপারমাণবিক কিন্তু তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।’

নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেলেও তার কারণ জানা যায়নি। ওই শব্দ পাওয়ার পর থেকে সাবমেরিনটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এখন বিস্ফোরণস্থলেই বিশেষভাবে অনুসন্ধান চালানো হবে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, স্যান হুয়ানে ৪৪ নাবিকের সাত থেকে দশ দিন টিকে থাকার মতো বাতাস রয়েছে। তবে সাবমেরিনটি যদি ভেসে থাকে অথবা টিউবের মাধ্যমে বাতাস সংগ্রহ করে থাকে, তাহলে নাবিকরা হাতে আরো বেশি সময় পাবেন।

গত ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে এআরএ স্যান হুয়ান নিখোঁজ রয়েছে। আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আর্জেন্টিনা সাগরে অবস্থানকালে সাবমেরিনটির সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয় দেশটির নৌবাহিনীর।

এদিকে নিখোঁজের দুদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জরুরি ভিত্তিতে সাবমেরিনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নেয় নাসার একটি বিমানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।

আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এআরএ স্যান হুয়ান সাবমেরিনটি উশুয়াইয়া এন রুট থেকে বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশের মার দেল প্লাতা শহরে যাচ্ছিল।

পথেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে এটা হতে পারে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এআরএ স্যান হুয়ান নামে ওই সাবমেরিন জার্মানিতে নির্মিত। ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত যুদ্ধযানটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। সে সময় স্যান হুয়ানই ছিল সর্বাধুনিক সাবমেরিন।