নিজামীপুত্রের মনোনয়নপত্র সংগ্রহে ‘বিরক্ত’ জামায়াত

যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের পক্ষে পাবনা-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার অনুসারীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার সাথিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের পক্ষে আবুল বাশার নামে এক ব্যাক্তি মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেন।

সাথিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী তালিকা থেকে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমানের নাম বাদ দিয়ে সাথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ আব্দুল বাসেতকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে ব্যারিস্টার মোমেনের অনুসারীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বর্তমানে ব্যারিস্টার মোমেন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি একই সাথে তুর্কি ও ব্রিটিশ নাগরিক। উপযুক্ত সময়ে তিনি দেশে ফিরে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেবেন বলে দাবি করেছেন তার অনুসারীরা।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের অনুসারী আবুল বাশার জানান, ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের বাবা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী পাবনা-১ আসন থেকে একাধিক বার নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করবেন। আমরা নির্বাচনের বিধিবিধান মেনেই তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। বর্তমানে তিনি দেশে না থাকলেও আমরা তার পক্ষ থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

তবে, পাবনা-১ আসনে ডাঃ আব্দুল বাসেতই জামায়াতের প্রার্থী বলে জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান।

তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার সুযোগ নেই। ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের পক্ষে যারা মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তাদের দলীয়ভাবে নিষেধ করা হবে যেন তারা মনোনয়নপত্র জমা না দেন।

এদিকে, পাবনা সদর আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটার মাওলানা ইকবাল হুসাইনকে প্রার্থী মনোনীত করলেও এ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সুবহানের ছেলে নেসার আহমেদ নান্নু।

রোববার তিনি জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, জামায়াতের দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক না থাকায় তাদের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। এসব আসনে প্রার্থীতায় ২৩ দলের সমর্থন চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।