নিজের চোখে মায়ের হত্যাকাণ্ড দেখেছে রোহিঙ্গা শিশু উসমান

ছয় বছর বয়সের রোহিঙ্গা শিশু উসমান। সে বলছিলো কিভাবে তার মাকে তার চোখের সামনেই হত্যা করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বাবার খোঁজও জানে না ওসমান। নানীর সঙ্গে টানা ১০ দিন পায়ে হেটে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ বাংলাদেশে। টেকনাফের একটি শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় হয়েছে তার।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে গেলেই দেখা যায় আগুনের কুন্ডলী। রোহিঙ্গারা বলছে, প্রতিদিনই নতুন নতুন বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সীমান্তের ওপারের ঘর জ্বালানো আগুন আর অন্ধকার জীবন রেখে আলোর পথের আশায় তাই বাংলাদেশে আসছে লাখো রোহিঙ্গা।

পুরো টেকনাফ থেকে উখিয়া পর্যন্ত সীমান্তের কাছে গেলেই রোহিঙ্গাদের এ ঢল চোখে পড়বে। কাধে ঝোলানো প্লাস্টিকের বছতায় করে রোহিঙ্গারা তাদের মিয়ানমারের পরিচয়পত্র, বাড়ির দলিল, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে আনছেন। তবে এসব রোহিঙ্গারা সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন শহরে ঢুকে।

উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেওয়া আশ্রয় শিবিরগুলোতে ভরে যাওয়ায় রাস্তায়, মার্কেট,মাদ্রাসা,স্কুল কলেজের আঙ্গিনা-ছাদ এমন নানা জায়গায় ঠাই খুজছেন রোহিঙ্গারা।

বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গার এ অনুপ্রবেশের ফলে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়দের অনেকেই। অবিলম্বে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গত দুই সপ্তাহ আগে সংহিসতার শিকার হয়ে তারা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে অনাহারে ক্লান্তদেহ নিয়ে আতঙ্ক নিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমায় রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের দাবি মিয়ানমার সরকারি বাহিনী ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয় । মিয়ামান সরকারের তথ্য মতে, ২৫ তারিখের সংঘরষে প্রায় ৪০০ জন নিহত হয়। জাতিসংঘের তথ্য মতে সহিংসতার পর ২ লাখ ৭০ হাজারের উপরে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।