নিজ বাড়িতে প্লাস্টিকে মোড়ানো মা-মেয়ের লাশ!

স্ত্রী-মেয়েকে খুন করার পর নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঘাতক স্বামী! সোমবার (১৯ মার্চ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের হাবড়া রাজবল্লভপুর বিশ্বাসহাটি গ্রামে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- স্ত্রী মিঠু দেবনাথ, মেয়ে ভূদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা দেবনাথ (১৫)। আর ঘাতক স্বামী হলো- শেখর দেবনাথ।

হাবড়া পুলিশ ও বিশ্বাসহাটি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শনিবার (১৭ মার্চ) পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল পূজা। ওই দিন বিকেলের পর থেকে পূজা আর তার মাকে দেখা যায়নি। রোববার (১৮ মার্চ) সারাদিনও তাদের কেউ দেখেনি এলাকায়। এমনকি সোমবার (১৯ মার্চ) পরীক্ষায় ও উপস্থিত ছিল না পূজা।

এরপর সোমবার (১৯ মার্চ) পূজার বাবাকে তার স্ত্রী-মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি সন্দেহজনকভাবে দৌড়ে নিজের বাড়ির দোতালায় উঠে গিয়ে নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন শেখর দেনাথ। এসময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।

এদিকে শেখর দেবনাথকে উদ্ধারের সময় ওই বাড়ি প্রতিবেশীদের নাকে পঁচা গন্ধ আসতে থাকে। এরপরই গন্ধের সন্ধান করতে গিয়ে খাটের নিচ থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো মা-মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় মছলন্দপুর পুলিশ ফাড়িতে খবর দেন।

ওই ঘটনার পর পুলিশ শেখর দেবনাথকে গ্রেপ্তার করেন। বর্তমানে পুলিশি পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

স্থানীয় ধারণা, শেখর দেবনাথ থার-দেনা করে নিজের বাড়িতেই সেলাইয়ের কারখানা করেছিলেন। হয়ত সেই ধারের টাকা সময় মতো দিতে না পারায় চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। যার কারণে তিনি এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।