নিপুন রায়সহ ছাত্রদল নেত্রী গ্রেফতার

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুন রায়কে গ্রেফতার করা হয়। আর আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করা হয় হাইকোর্ট এলাকা থেকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, গাড়ি পোড়ানোর মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীনকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেবী নাজনীন ও নিপুন রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়ি পোড়ানো মামলায় নিপুন রায় চৌধুরীসহ দলের অনেককে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। তিন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

হুকুমের আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন।

সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিতদের মধ্য থেকে জড়িত সন্দেহে আরও ৩০ জনকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

উল্লেখ্য, দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই বুধবারের ওই সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। অন্যদিকে, নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জ্বালিয়ে দেয়া পুলিশের পিকআপ ভ্যানটির নম্বর ২৩১১। পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গাড়িটি ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।

ওইদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া পাঁচজন অফিসার ও দুজন আনসারসহ মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।