নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হতে পারে মেট্রোরেলের কাজ

রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার সংকট দূর করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প মেট্রোরেলের সব কটি প্যাকেজের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। মেট্রোরেলের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে এর অবকাঠামো যাতে টেকসই হয়ে সেদিকে খেয়াল রাখার তাগিদ সাধারণ মানুষের।

পিআর তৈরি। তার উপর গার্ডার বসানো। কোথাও পিআরের পাইলিং চলছে। আবার কোথাও পাইল ক্যাপ বসানো। এ নিয়েই আপাতত ব্যস্ত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ফেইজের কাজ। পিআরের উপর গার্ডারই বলে দিচ্ছে মেট্রোরেলের কাজের দ্রুত গতি। প্যাকেজ তিন ও চার এর আওতায় এরই মধ্যে ১৮ টি পিআর ও ২২টি ভায়াডাক্টের কাজ শেষ হয়েছে।

এমআরটি লাইন-৬ প্যাকেজ তিন ও চার উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলেন, ‘লাঞ্চিং গার্ডার লাগানো হয়েছে, সেগমেন্টগুলো লাগানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের সিপি থ্রি ও সিপি ফোর এর মেজর অংশের পাইলিং করা হয়েছে।’

প্যাকেজ এক এর আওতায় দিয়াবাড়িতে ডিপোর ভূমি প্রস্তুত কাজ ৩১শে জানুয়ারি ২০১৮ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নয় মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে। প্যাকেজ দুই এর আওতায় ডিপোর অবকাঠামো তৈরির জন্য কোথাও পাইলিং এর কাজ আবার কোথাও অন্য অবকাঠামোর ঢালাইর কাজ চলছে।

এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শাজাহান বলেন, ‘ওয়ার্কশপের কাজ চলছে। অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভবন, ট্রেনিং সেন্টার ভবন ইত্যাদির নির্মাণ চলছে।’

এদিকে প্যাকেজ পাঁচ ও ছয় এর আওতায় চলছে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার লাইন স্থানান্তরের কাজ। এছাড়া প্যাকেজ সাত এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেমের দশ শতাংশ কাজ ও প্যাকেজ আট এর রেল কোচ ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ ২০ শতাংশ সম্পন্ন।

এমআরটি লাইন-৬ উপ প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের যে প্ল্যান তার থেকে আমরা এগিয়ে আছি, বিধায় আমাদের নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করা যাবে।’

মেট্রোরেলের কাজ গুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তেমন একটা ধারণা না থাকলেও কাজ দ্রুত ও টেকসই হবে এমন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমানে মেট্রোরেলের পুরো প্রকল্পের প্রায় ১৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিন এবং চারের অধীনে পাইল ১৭৬৬ টি পাইল ক্যাপ ৯৫ পিআর ১৮ ও সেগমেন্ট ১১৮টি এবং ভায়াডাক্ট ২২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্যাকেজ গুলোর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০ সালে এ প্রকল্পের মেয়াদ দেয়া থাকলেও এর আগেই এ প্রকল্পটি বাস্তবে দেখা যাবে।