নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নেই : সিপিডি

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

বৃহস্পতিবার বিকালে সিপিডি কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী অর্থবছরের বাজেট সামগ্রিকভাবে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন: নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেই। নির্বাচনী ইশতেহারে কতগুলো সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ছিল। আমাদের ধারণা ছিল সেই প্রতিশ্রুতিগুলোকে উল্লেখ করে, সেগুলোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো, সেরকম একটা ব্যবস্থা আমরা লক্ষ করবো। দুঃখজনকভাবে আমরা এই মুহূর্তে তা পেলাম না।

‘‘যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, যেমন: ৩ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু এটা কোন খাতে, কীভাবে সৃষ্টি হবে এবং এটা ব্যক্তি খাতে হবে, না সরকারি খাতে হবে, এটা কি গ্রামে হবে, নাকি শহরে হবে; এ ধরনের কোনও মূল্যায়নভিত্তিক বা কোনও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাভিত্তিক কৌশলপত্র আমরা সেভাবে লক্ষ্য করিনি।’’

তিনি বলেন, ‘যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে কোন সময়ের ভেতরে বাস্তবায়ন হবে, তা বলা নেই। যেমন ব্যাংক খাতে কমিশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে –‘আলাপ-আলোচনা করে করা হবে’। এক কথায় মন্ত্রী নিঃসন্দেহে বাস্তবতার নিরিখে বাজেট করার চেষ্টা করেছেন, তবে সামগ্রিকভাবে বাস্তবতা তাতে প্রতিফলিত হয়নি। তিনি প্রত্যাশা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন, সেটা পরিপূরণ করার জন্য যে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প-প্রস্তাবনা থাকে, বিশেষ করে নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে, সেটা কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।

এ সময় বাজেটের ওপর সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়া আগামীকাল শুক্রবার সকালে জানানো হবে বলে জানান ড. দেবপ্রিয়।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।